মানবদেহের অঙ্গপাচারে যুক্ত রয়েছেন রাজ্যেরই এক সরকারি হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান? এমনই গুরুতর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান থানার অন্তর্গত মিঠাপুকুরের হাতিশাল এলাকায়। তথ্য বলছে, নামজাদা ওই চিকিৎসকের বাড়িতে শনিবার রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই)-এর আধিকারিকরা।
ঘটনা প্রসঙ্গ জানা গিয়েছে, শনিবার (২৪ মে, ২০২৫) রাত ১১টা নাগাদ বর্ধমান থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে সিবিআই-এর আটজন প্রতিনিধির একটি দল। এরপরই স্থানীয় থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই চিকিৎসকের বাড়িতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শনিবার গভীর রাত থেকে আজ (রবিবার – ২৫ মে, ২০২৫) সকাল প্রায় ৭টা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে ওই চিকিৎসকের বাড়ি থেকে নগদ ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোনা ও হীরের গয়না! অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালের ওই চিকিৎসক সরাসরি অঙ্গপাচারের কালো কারবারে যুক্ত রয়েছেন! যদিও সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান চলাকালীন তিনি বাড়িতে ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, বর্তমানে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শারীরবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান! তাঁর স্ত্রীও একজন চিকিৎসক। তিনি যুক্ত রয়েছেন কলকাতার কোনও একটি মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে! সিবিআই তল্লাশি চলাকালীন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। যদিও এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে রাজি হননি ওই মহিলা।
আরও জানা গিয়েছে, রাতভর তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা ও গয়না ছাড়াও কম্পিউটারের বেশ কিছু হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেইসঙ্গে, কিছু কাগজপত্রও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, সেগুলি আদতে অঙ্গপাচারের অভিযোগ সংক্রান্ত নথিপত্র হতে পারে। এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।