অচেনা কাউকে দেখলেই খবর দিন!

Spread the love

যুদ্ধবিরতি হলেও সীমান্তে এখনও নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। তারপরও বাংলার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে গ্রেফতার হচ্ছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। এই অবস্থায় বাংলাদেশের দুষ্কৃতী অথবা পাকিস্তানি চরেরা দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী গ্রামে লুকিয়ে থাকতে পারতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এই জেলার সীমান্তে দীর্ঘ অংশ কাঁটাতারবিহীন অবস্থায় রয়েছে। সেই কারণে জেলার প্রত্যেকটি সীমান্তবর্তী গ্রামে আরও নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। 

জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছেন ওসি, আইসিরা। এবিষয়ে তাঁরা সচেতন করেছেন। বলা হয়েছে, অচেনা কাউকে দেখলেই যেন দ্রুত পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই জেলায় ৯টি থানা রয়েছে এবং ৬৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সব গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তে মঙ্গলবার একটি প্রকল্পের উদ্বোধনে এলাকার মানুষজনকে সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিএসএফ সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। এই অবস্থায় জেলা পরিষদের উদ্যোগে জওয়ানদের জন্য সীমান্তে ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিন উদ্বোধন করা হল। বিএসএফ ও সেনাবাহিনী দেশকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করছে। বাংলাতে এখনও যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি না হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তের মানুষকে সতর্ক ও সাবধান থাকার বার্তা দিয়েছেন মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিনদিকেই বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। এই জেলায় ৩৫ কিমি’র বেশি সীমান্তে এখনও কাঁটাতার নেই। তাই প্রায়ই এখানে অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। এবিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানিয়েছেন, সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। গোটা জেলাজুড়েই সব থানার পুলিশকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। অচেনা বা সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *