গুজরাটে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে খতম করল বিএসএফ। ঘটনাটি ঘটেছে বনসকণ্ঠ জেলায়। গুজরাটের বিএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার পর সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে সীমান্ত বেড়ার দিকে হেঁটে যেতে দেখে সতর্ক করে জওয়ানরা। কিন্তু সেই অনুপ্রবেশকারী সতর্কতা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে থাকে। এই আবহে জওয়ানরা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই সেই অনুপ্রবেশকারীর মূত্যু হয়।’
এদিকে সেই অনুপ্রবেশকারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। সে কী কারণে সীমান্ত পার করে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে চাইছিল, তাও স্পষ্ট নয়। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান স্পর্শকাতর সীমান্তে অবস্থিত বনাসকণ্ঠ জেলাটি কৌশলগত ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আবহে আর কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা এড়াতে সেই এলাকায় টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ।
এদিকে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার দায়ে এবার গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। জানা গিয়েছে, সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও ভারতীয় বিমানবাহিনী সম্পর্কিত গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে সহদেব সিং গোহিলকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। গুজরাট এটিএসের এসপি কে সিদ্ধার্থ গ্রেফতারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং মামলার বিবরণ প্রকাশ করেছেন। সিদ্ধার্থ বলেন, ‘কচ্ছ থেকে সহদেব সিং গোহিলকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট এটিএস। আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে সে এক পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে বিএসএফ ও বায়ুসেনা সংক্রান্ত তথ্য পাচার করত।’

জানা গিয়েছে, সহদেব সিং গোহিল কচ্ছের একজন বহুমুখী স্বাস্থ্যকর্মী। এটিএস অনুসারে, গোহিলকে ১ মে প্রাথমিক তদন্তের জন্য ডাকা হয়েছিল, যেখানে জানা যায় যে তিনি ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসে হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সংস্পর্শে এসেছিলেন। এরপর পুলিশ তাকে আরও জেরা করে জানতে পারে, গোহিল পাকিস্তানের এজেন্ট। জেরায় গোহিল জানায়, অদিতি নামে যেই মেয়ের সাথে সে কথা বলত, সে পাক গুপ্তচর ছিল। সেই মহিলাই বিএসএফ এবং আইএএফ সাইটগুলির ছবি এবং ভিডিয়ো চেয়েছিল তার থেকে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেই ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করতে শুরু করে গোহিল। এই আবহে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ৬১ ও ১৪৮ ধারায় গোহিল ও পাকিস্তানি এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।