অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে ছিলেন স্বস্তিকা

Spread the love

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের(Swastika Mukherjee) কাজের চর্চা যে রকম হয়, সেরকমই চর্চায় থাকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন। শুধু তাই নয়, সমালোচনার ভয় না পেয়েই সমাজে চলতে থাকা নানা নিয়মকানুন নিয়েও মাঝে মাঝেই প্রশ্ন তোলেন নায়িকা। আর এবারও তেমই এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন অভিনেত্রী।

আইনি বিয়ের পাশাপাশি সামাজিক মতেও বিয়ে হয়। আর এই সামাজিক মতের বিয়েকেই বেশির ভাগ মানুষ বিয়ে বলে গণ্য করেন। কন্যাদানের মতো প্রথাও থাকে এই বিয়েতে। আর শাস্ত্র অনুসারে কন্যাদান করলে, তাঁর গোত্র বদলে যায়।তবে সব বিয়েই যে সুখকর হয়, তা তো নয়। অনেক ক্ষেত্রেই বিয়ে ভাঙে, ডিভোর্স হয়। কিন্তু বিচ্ছেদ যখন হয় সেখানে মাধ্যম হিসেবে থাকে আইন অর্থাৎ আইনি বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু শাস্ত্র মতে গোত্র পাল্টে যাওয়া সেই মেয়েটা আর তাঁর আগের গোত্রে কি ফিরতে পারে? কারণ শাস্ত্রের নিয়ম মেনে তো বিচ্ছদে হয় না। এবার সেই প্রশ্নই সমাজের দিকে ছুঁড়ে দিলেন স্বস্তিকা।

তবে এই প্রথম নয়, আনন্দবাজার ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, এই প্রশ্ন তিনি তাঁর বাবাকে নাকি করতে। আসলে অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন স্বস্তিকা। কিন্তু সেই সংসার খুব একটা সুখের হয়নি। তাই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি।এই আইনি বিচ্ছেদ ও গোত্রান্তর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্বস্তিকা আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, ‘কেউ কন্যাদান করে দিল। কিন্তু সেই বিয়েটা টিকলো না। সেই কন্যা বাড়ি ফিরে এল। সেখানে কি শাস্ত্রমতে মেয়েকে ফেরত নেওয়া হচ্ছে? সেখানে আইনি ভাবে মেয়েকে ফেরত নেওয়া হচ্ছে। তাহলে কি মেয়ে আদৌও ফেরত এল, নাকি যে দান করে দেওয়া হয়েছিল, সেই দানটাই রয়ে গেল?’

তারপরই নিজের প্রসঙ্গ টেনে স্বস্তিকা প্রশ্ন তোলেন, ‘তাহলে কি আমি আমার বাপের বাড়ির গোত্রটা ফেরত পাচ্ছি? শাস্ত্রমতে তো আমার ফেরত আসাটা হচ্ছে না।’ তারপরই নায়িকা জানান, এই কথা তিনি তাঁর বাবাকে বলতে। তা শুনে নাকি বাবা তাঁর উপর রেগেও যেতেন। স্বস্তিকার কথায়, ‘বাবা অনেক সময়ই আমার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতেন। তারপর আবার অনেক সব সঠিক উত্তর দিতে পারতেনও না। তখন তিনি আমার উপর রেগে যেতেন। আমাকে বলতেন, এই প্রশ্নটা তোর মাথায় কোথা থেকে এসেছে?’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেছিলেন স্বস্তিকা। তখন তাঁর বয়স সবে ১৮! বাবা-মা’র পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে। তবে কয়েক বছরের মধ্য়েই তাল কাটে সম্পর্কে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্বস্তিকা। এরপর কেটেছে ২৩ বছর, কিন্তু স্বস্তিকা-প্রমিতের ডিভোর্স মামলা আজও আদালতে বিচারাধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *