অন্য কারণে বোর্ডের সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়েই টেস্ট অবসর নিলেন বিরাট

Spread the love

সচিন তেন্ডুলকরের অবসরের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের চার নম্বর ব্যাটিং পজিশনটি নিজের করে নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। বিগত ১০-১২ বছর ধরেই এই পজিশন নিয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হয়নি বিসিসিআইকে। কিন্তু সোমবার সকালেই নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে বিরাট কোহলি জানিয়ে দেন, তিনি আর জাতীয় দলের হয়ে সাদা জার্সিতে খেলতে নামবেন না। সর্বভারতীয় দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিরাট কোহলি পরিবারকে সময় দিতে চেয়েছিলেন, সেই কারণেই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন।

রোহিতের পর অবসর বিরাটের
রোহিত শর্মার টেস্ট অবসরের পাঁচদিন যেতে না যেতেই বিরাট কোহলিও টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের আগে তাই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বেশ চাপে রয়েছে। বর্ডার গাভাসরক ট্রফিতে বারবার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট হওয়ার পর রঞ্জিতে বিরাট নেমেছিলেন দিল্লির জার্সিতে। ফলে মনে করা হয়েছিল, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে খেলার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। কিন্তু বিসিসিআই বর্ডার গাভাসকর ট্রফির পর কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেটারদের জন্য, তাতেই বেঁকে বসেন কোহলি।

বিসিসিআইয়ের নিয়ম মেনে নিতে পারেননি কোহলি
অনেকে মনে করেছিল যে বিসিসিআই হয়ত বিরাটকে চাপ দিয়ে থাকতে পারে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য, তবে বাস্তব ক্ষেত্রে কারণটা আলাদা। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে হারের পর ক্রিকেটারদের জন্য ১০ দফা ফরমান জারি করেছিল বোর্ড, যেখানে ছিল পরিবারের থেকে বিদেশ সফরের সময়ে দূরে থাকার কথাও। দেড় মাসের সিরিজের ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের পরিবার মাত্র ১৪ দিনের জন্য খেলোয়াড়ের সঙ্গে থাকতে পারবে। বিরাট এবং রোহিত, দুজনেরই ছেলে একদম ছোট।

এপ্রিলেরই সিদ্ধান্তের কথা বোর্ডকে জানান বিরাট
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিরাট কোহলি এপ্রিল মাসেই নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকর এবং বোর্ডের এক শীর্ষকর্তাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চান। তিনি পরিবারকেই আরও বেশি সময় দিতে চেয়েছিলেন। এরপর বিসিসিআই পাল্টা কোহলিকে জানায়, যাতে দ্রুত এমন কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়। কিন্তু কোহলি ফের রোহিতের অবসরের দিনই বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আরও একবার তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলে বিসিসিআই।

পরিবারের গুরুত্ব নিয়ে আগেও কথা বলেন বিরাট
এর আগেও কোহলি বলেছিলেন, ‘মানুষকে পরিবারের গুরুত্ব বোঝানোর কাজটা খুবই কঠিন। আমার মনে হয়না মানুষ বুঝতে পারে, পরিবারের মানে ঠিক কতটা। আমি একা ঘরে গিয়ে বসে থাকতে চাই না, আমি সাধারণ মানুষের মতোই থাকতে চাই। সেটা করতে পারলে আমি খেলাকেও দায়িত্বের মতো করেই পালন করতে পারব ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *