অপারেশনে যাওয়ার পথে বিস্ফোরণ! ৭ পাকিস্তানি জওয়ানের মৃত্যু

Spread the love

আইইডি বিস্ফোরণে পাকিস্তানি সেনার সাত জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করে নিল ইসলামাবাদ। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানি সেনার তরফে জানানো হয়েছে যে বালোচিস্তানে সামরিক গাড়িতে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তার জেরে পাকিস্তানি সেনার কমপক্ষে সাত জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য বিস্তারিতভাবে পাকিস্তানি সেনার তরফে কিছু জানানো হয়নি।

সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাচ্ছি জেলায় পুরনো ‘শত্রু’ বালোচ লিবারেশন আর্মির সদস্যরা হাতে তৈরি বোমা নিয়ে ওই গাড়ির উপরে হামলা চালিয়েছেন। একজন সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, সুরক্ষা অভিযানে যাওয়ার সময় হামলা চালানো হয়। আহত পাঁচজনকে কোয়েটার সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে ওই হামলার দায় এখনও স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী। 

আর সেই ঘটনার আগে রবিবার রাতে পুলিশের ভ্যানে হামলার দায় স্বীকার করেছিলেন বালোচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। পাঁচ পুলিশ অফিসারকে অপহরণ করা হয়েছিল। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছিলেন যে শুক্রবার রাতে বালোচিস্তানের রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন ৩০-৪০ সশস্ত্র ব্যক্তি। বন্দীদের ছেড়ে দেওয়া হলেও পাঁচজন পুলিশ অফিসারকে অপহরণ করা হয়েছিল।

সেইসবের মধ্যেই আজ ইসলামাবাদে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্সের (আইএসআই) সদর দফতরে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের দাবি, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে ভারত কোনও সামরিক পদক্ষেপ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই পরিস্থিতিতে আইএসআইয়ের সদর দফতরে যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছুটে দেলেন, সেটার নেপথ্যে ‘ভয়’ আছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

আর যেদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আইএসআইয়ের সদর দফতরে গেলেন, তার পরদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মক ড্রিল চালাবে ভারত। দেশের ২৫৯টি ‘সিভিল ডিফেন্স’ জেলায় মক ড্রিল চালানো হবে। অর্থাৎ যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে সাধারণ মানুষকে কী করতে হবে, কোন কোন কাজ এড়িয়ে যেতে হবে, সেই বিষয়ে মহড়া চালাবে ভারত। যা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *