অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা মোদীর

Spread the love

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের বিমান হামলায় মাত্র ২২ মিনিটের মধ্যে নয়টি সন্ত্রাসী আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে। গান্ধীনগরে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই নিয়ে বললেন, ‘যারা প্রমাণের দাবি তোলে, তাদের চুপ করাতে পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছিল।’ আজ জনসভায় মোদী বলেন, ‘বুলেটের জবাব গুলি দিয়ে দিতে হবে, ইটের জবাব পাথর দিয়ে দিতে হবে, কাঁটা উপড়ে ফেলতে হবে।’

মোদী বলেন, ‘৬ মে-র পর পাকিস্তানের প্রক্সি যুদ্ধ আর প্রক্সি নয়। আমরা পাকিস্তানি সন্ত্রাসী শিবির ধ্বংস করেছি, আমাদের কাছে ক্যামেরার ফুটেজ আছে, যা সবাই দেখেছে। ভারতীয় হামলায় নিহত সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিয়েছে পাকিস্তান। এটাই প্রমাণ করে যে এটা ভারতের সাথে যুদ্ধ।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জেনে অবাক হয়েছিলাম, ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদের জল চুক্তির অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের বাঁধগুলির পলি অপসারণ করা যেত না। যার জেরে বাঁধগুলির ধারণক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ভারতীয়দের কি জলের ওপর অধিকার নেই? চুক্তিটি আনুগত্যের ভিত্তিতে, এবং আমরা কেবল বাঁধগুলি পরিষ্কার করছি, কিন্তু পাকিস্তান কাঁপছে।’ 

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘সিঁদুরের গর্জন সকলেই শুনেছে। আমরা (সন্ত্রাসবাদের) কাঁটা দূর করব। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হয়। ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করার সময় এসেছিল, কিন্তু ভারতের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছিল। ভারতবর্ষ ৩ ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে, পাকিস্তান কাশ্মীরে আক্রমণ করে প্রথম সন্ত্রাসী হামলা চালায়। মুজাহিদীনরা ভারত আক্রমণ করে। তাই এখন বুলেটের জবাব গুলি দিয়ে দিতে হবে, ইটের জবাব পাথর দিয়ে দিতে হবে, কাঁটা উপড়ে ফেলতে হবে।’

মোদী বলেন, ‘এটা সাহসীদের দেশ। পাকিস্তান যদি যুদ্ধে নামে তাহলে সেই অনুযায়ী জবাব পাবে। আমরা কারও সঙ্গে শত্রুতা চাই না। আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই। আমরাও উন্নতি করতে চাই যাতে আমরা বিশ্বের কল্যাণে অবদান রাখতে পারি। ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *