শনিবারের ভাররাতে ভারতের তাবড় এলাকার দিকে তাক করে পাকিস্তান চার্জ করে মিসাইল ফাতেহ-১। এর আগেও বৃহস্পতিবার, শুক্রবারের রাতে পাকিস্তান ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। ড্রোন বর্ষণে ভারতের সীমান্ত এলাকায় নিরীহ নাগরিকদের নিশানায় নিয়েছে পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরের ফৌজ। এরপর জানা যাচ্ছে, শনিবার সকালে পাকিস্তানের তরফে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’কে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করা হয়েছে ‘অপারেশন বানিয়ান উল মারসুস।’
পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানায় বহু মহিলার চোখের সামনে তাঁদের স্বামীকে খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা। এর পাল্টা হিসাবে, জবাব আসে ভারতের তরফে। ভারতীয় সেনা নামে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে। তার পাল্টা হিসাবে এল পাকিস্তানের অপারেশন বানিয়ান উল মারসুস’। এই শব্দটির মানে কী? দেখা যাক।
অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের শেলিংয়ে ভারতের অন্তত ১৬ জন নাগরিকের মৃত্যু ঘটে। এর জবাবে ভারতও পালটা শেলিং চালিয়েছে। এরই মধ্যে ৭-৮ মে-র মাঝের গভীর রাতে পাকিস্তান ভারতের ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে ভারত সেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করে এস ৪০০ সুদর্শন চক্র ব্যবহার করে।জানা গিয়েছে, ‘বুনিয়ান উল মারসুস’ বা ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ শব্দের অর্থ হল ‘নেতৃত্বের পোক্ত দেওয়াল’। আর এই শব্দকে সামনে রেখে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ শব্দের পাল্টা অভিযানে নেমেছে পাকিস্তান। আল জাজিরা নেটওয়ার্ক বলছে,’বুনিয়ান মারসুস একটি আরবি বাক্যাংশ যার সরাসরি অনুবাদ ‘সীসা দিয়ে তৈরি একটি কাঠামো’।’
আল জাজিরার রিপোর্ট বলছে, এই শব্দের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় মতের একটি যোগ রয়েছে। সেখানেও পোক্ত এক দেওয়ালের কথা বলা হয়েছে। সেই শব্দ থেকেই পাকিস্তানের এই অভিযানের নাম এসেছে। প্রসঙ্গত, অপারেশনের এমন নাম দিয়ে পাকিস্তান চাইছে তারা নিজেকে প্রতিরক্ষা করছে এমনটা বোঝাতে।
এদিকে, পাকিস্তানের একের পর এক এয়ারস্পেসে পর পর ঝোড়ো হামলা চালিয়েছে ভারত। শুক্রবার রাতে সেই হামলার জবাব দিয়েছে ভারত। রাওয়ালপিণ্ডিতে বায়ুঘাঁটি ঝাঁঝরা করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পাল্টা এছাড়াও আর ৩ জায়গায় ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে।