অভিজিৎ সরকারের দাদার ওপর বাড়ির সামনেই হামলার অভিযোগ

Spread the love

ভোট পরবর্তী হিংসায় কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে এখনও জেল খাটছেন ২ পুলিশ আধিকারিকসহ ৩ পুলিশকর্মী। ওই ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে যে কোনও সময় গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন তৃণমূলের বাহুবলী বিধায়ক পরেশ পাল, কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার ও পাপিয়া ঘোষ। তারই মধ্যে অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের ওপর হামলা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল কলকাতা পৌরসভার কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার অভিজিৎ সরকারের বাড়ির সামনে গাছের ডাল কাটছিলেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে গাছ কাটায় গাছের ডাল ভেঙে তার ছিঁড়ে তাঁদের বাড়ির ওপর পড়ে। গাছের ডাল পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাড়ির ছাদ ও একটি গাড়ি। এই ঘটনায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন বিশ্বজিৎবাবু। অভিযোগ, তখন অভিজিৎবাবুকে বেধড়ক মারধর করেন পুরসভার কর্মীরা। তাঁর দাবি, কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার ও পাপিয়া ঘোষ লোক পাঠিয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছেন। পালটা পুরসভার কর্মীদের দাবি, গাছের ডাল পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে তাঁদের ওপর হামলা চালার। তার জেরেই ২ পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বাঁধে। খবর পেয়ে কাঁকুড়গাছি থানার পুলিশ এসে ২ পক্ষকেই থানায় নিয়ে গিয়েছে বলে খবর।

বলে রাখি, অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলায় সম্প্রতি আদালতে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। তাতে স্থানীয় বাহুবলী বিধায়ক পরেশ পাল ছাড়াও নাম রয়েছে ২ কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার ও পাপিয়া ঘোষের। সব মিলিয়ে ১৮ জনের নাম রয়েছে ওই চার্জশিটে। ওই মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও সাক্ষীদের প্রভাবিত করার অভিযোগে ইতিমধ্যে কাঁকুড়গাছি থানার প্রাক্তন ওসি শুভজিৎ সেন, সাব ইন্সপেক্টর রত্না সরকার ও এক কন্সটেবলকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *