রাজ্য বিজেপির নেতাব্যক্তিদের দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক শীতল। বনিবনা না হওয়ায় বিজেপি ‘বিভক্ত’ এমন জনশ্রুতি বহুল প্রচলিত হয়ে গিয়েছে। মাঝখানে বিয়েকে কেন্দ্র করে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে তাঁকে দেখা যায় এক ফ্রেমে। তার পর থেকেই শুরু হয়েছিল নানা জল্পনা। তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ? মোদীর সভায় ডাক পাননি তিনি। চলে গিয়েছিলেন দিল্লি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার ডাকেই রাজধানী যান ওই দিন। জল্পনায় বেশ খানিকটা থিতিয়ে গিয়েছিল সেদিনই। এবার ২১ জুলাই নিয়ে তার বিতর্কিত মন্তব্য ফের স্পষ্ট করে দিল তার অবস্থান। একই সঙ্গে ঘটাল জল্পনার অবসান।
‘জয় বাংলা বলব না’
২১-এর মঞ্চ থেকে মোদীর সভার নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘জয় মা কালী বলিয়েছি, ছাব্বিশের নির্বাচনের পর ওদের দিয়ে জয় বাংলাও বলাব।’ কিছুটা এই প্রসঙ্গেই দিলীপ ঘোষকে এবার খড়গপুরের কর্মসূচি থেকে বলতে শোনা গেল, ‘সব বলব। কিন্তু জয় বাংলা বলব না।’ একই সঙ্গে তিনি যে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার মানুষ নন, সে কথাও বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ।

জল্পনা উস্কে দেন দিলীপও
২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসে পাল্টা কর্মসূচি রাখে বিজেপি। এই দিন শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ছিল উত্তরকন্যায়। সেখান থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু আজ দিলীপকে কোথায় দেখা যাবে, তা নিয়ে মস্ত জল্পনা ছিল। ২১ জুলাইয়ে বিজেপির মঞ্চে দেখা যাবে না তৃণমূলের মঞ্চে, তা নিয়েই চলছিল জল্পনা। জল্পনা উস্কে দিয়ে দিলীপও বলেছিলেন, ‘কোনও না কোনও মঞ্চে তো দেখা যাবেই।’ কিন্তু শেষমেশ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তাঁকে দেখা গেল খড়গপুরের জনসভায়। সেখান থেকেই তিনি পরোক্ষভাবে অভিষেকের হুঙ্কারের পাল্টা জবাব দেন।