অরিজিতের জিয়াগঞ্জের রেস্তোরাঁ হেঁশেলে ৩০ টাকায় থালি পাওয়া যায়? 

Spread the love

জানেন কি, নিজের বাড়ি জিয়াগঞ্জে একটি রেস্তোরাঁ খুলেছেন অরিজিৎ সিং। যা দেখভাল করেন তাঁর বাবা। আর সেখানে খাবারের দাম দেখলে আপনার চোখ উঠবে কপালে। ভাবছেন দাম বেশি? মোটেই নয়, বরং জলের দরে খাওয়াদাওয়ার করার সুযোগ পাবেন আপনি।

সম্প্রতি সেই রেস্তোঁরার মেনুর ছবি ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, খাবারের দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকা থকে। স্টুডেন্ট থালির বন্দোবস্ত রয়েছে অরিজিতের হেঁশেলে। যদিও শুধু JCET-র পড়ুয়ারাই পাবেন সেই সুযোগ। অর্থাৎ জিয়াগঞ্জের পলিটেকনিক স্কুলে লেখাপড়া করছেন যারা এই মুহূর্তে। যদিও খবর, বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৪০ করা হয়েছে।

এছাড়াও ভেজ থালির দাম পড়বে ৬০ টাকা। যেখানে ভাত-ডাল-ভাজা-দুরকমের তরকারি দেওয়া হবে। অমলেট থালি খেতে পারবেন সেখানে ৯০টাকায়। দেওয়া হবে দুটো ডিমের অমলেট। এই রেস্তোরাঁয় আলাদা করে ফিশ বা এগ কারিরও ব্যবস্থ রয়েছে। বহা বাহুল্য সেগুলোও নিম্নবিত্তের সাধ্যের মধ্যে। বিরিয়ানির মকো লোভনীয় খাবারও পরিবেশন করে থাকে হেঁশেল, একাধিক রিপোর্ট অনুসারে সেক্ষেত্রে দাম পড়ে ১৫০ টাকার আশেপাশে। রেস্তোরাঁটি প্রতিদিন সকাল ১০.৩০ থেকে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে।

হেঁশেল হোটেলটি নতুন নয়; এটি অরিজিৎ সিং-এর পরিবারের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। হোটেলটি গায়কের বাবা গুরদয়াল সিং চালান। বর্তমানে যেখানে শিল্পা শেট্টি, গৌরী খানদের মতো সেলেবরা হাই-প্রোফাইল রেস্তোরাঁ খুলেছেন, সেখানে অরিজিতের এই পারিবারিক ব্যবসায় এখনও সৎসামান্য দামে দু বেলা খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে।অবশ্য শুধু কম টাকার, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার নয়, নিজের এলাকায় আরও নানা কল্যানমূলক কাজে ব্রতী হয়েছেন অরিজিৎ। তালিকায় রয়েছে, জিয়াগঞ্জে হাসপাতাল নির্মাণ থেকে খেলায় মাঠ, ইংরেজি শিক্ষার ক্লাস চালুর মতো নানাবিধ জিনিস। এখনও জিয়াগঞ্জে এলে স্কুটি চালিয়ে দোকান-বাজার করেন অরিজিৎ। দুই ছেলে এখনও লেখাপড়া করে এখানকারই স্থানীয় স্কুলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *