তাঁর নামে অসম সরকারের পাঠানো NRCর চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছলেও পৌঁছয়নি তাঁর কাছেই। মুখ্যন্ত্রীর দাবির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এভাবেই মমতার অস্বস্তি বাড়ালেন ফালাকাটার বধূ অঞ্জলি শীল। তাঁর প্রশ্ন, তাঁকে অসম সরকার চিঠি পাঠিয়ে থাকলে সেই চিঠি হয় থাকবে পুলিশের কাছে বা তাঁর কাছে। কিন্তু সেই চিঠি সংবাদমাধ্যমের কাছে গেল কী করে?
ফালাকাটার জটেশ্বর এলাকার বাসিন্দা অঞ্জলি দেবীর বাড়িতে দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। টিনের বাড়িতে থাকেন অঞ্জলিদেবী ও তাঁর স্বামী নিত্য শীল। নিত্যবাবু জানান, আমার আদি বাড়ি অসমে। সেখানে সব আত্মীয়রা থাকেন। আমার শ্বশুরবাড়িও অসমে। তাদের সবার NRC হয়ে গিয়েছে।
অঞ্জলিদেবী বলেন, মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার থেকে সাংবাদিকরা ফোন করে জানান আমার নামে না কি চিঠি এসেছে। কিন্তু আমি কোনও চিঠি এখনও পাইনি। আমার নামে চিঠি এসেছে সেটা আমি জানতে পারলাম না, অথচ চিঠি সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে গেল কী করে?
তিনি বলেন, আমার নামে সত্যিই নোটিশ এসে থাকলে সেটা পুলিশ সুপারের কাছে থাকবে। নইলে আমার কাছে থাকবে। আমি অসমে আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নথি জমা দেব।

সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা নোটিশে দেখা যাচ্ছে অসমের কোকরাঝাড় জেলার ফরেনার্স ট্রাব্যুনাল থেকে গত ৩ জুলাই নোটিশটি জারি হয়েছে।
ওদিকে অঞ্জলি দেবীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নাগরিকত্ব নিয়ে রাজনীতি করছে, এই ঘটনায় তা স্পষ্ট। এই নোটিশটা আসল কি না তা নিয়েই আমার মনে প্রশ্ন জাগছে। ফালাকাটার বাসিন্দাকে পাঠানো নোটিশ কোচবিহারের পুলিশ সুপারের কাছে পৌঁছল কী করে? আর সেই নোটিশ যার পাওয়ার কথা তাঁর কাছে পৌঁছনোর আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছল কেন?’