আইনি বিপাকে মহাগুরুর বহুতল

Spread the love

আইনি জটিলতায় জড়িয়ে গেল মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বইয়ের বাড়ি। বৃহন্মুম্বই পুরনিগমের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে অভিনেতাকে। সময়মতো সঠিক জবাব না দিলে অভিনেতার বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে পুরনিগমের তরফ থেকে।

বৃহন্মুম্বাই পুরনিগম সূত্র থেকে খবর পাওয়া গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের মাধ এলাকায় ১০০টির বেশি অবৈধ নির্মাণকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অভিনেতার বাড়ির নামও। মহারাষ্ট্রের মালাড মাধ এলাকার ইরাঙ্গেল গ্রামের ইরাবতী মন্দিরের কাছে যে বাড়িটি রয়েছে, তার নিচের তলাটি অবৈধভাবে সংস্কার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্র মারফত আরও খবর পাওয়া গিয়েছে, বহুতলের গ্রাউন্ডফ্লোর তৈরি করা হয়েছে ইট, কাট এবং কাঁচ দিয়ে, যা তৈরি করার আগে পুরনিগমের তরফ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। অনুমতি না নিয়ে বাড়িটি তৈরি করার অপরাধে অভিনেতাকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যার জবাব এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে অভিনেতাকে।

অভিনেতা যদি সঠিক সময় মতো জবাব না দেন অথবা অভিনেতার জবাব যদি সন্তোষজনক না হয় সে ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। অবৈধ নির্মাণ তৈরি করার অপরাধে সেটি ভেঙে দেওয়া বা মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা এমনকি কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে অভিনেতার। ১৯৮৮ সালের বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের আইন অনুযায়ী মিঠুনের বিরুদ্ধে ৩৩৭, ৩৪২, ৩৪৭ ধারায় মামলা হতে পারে।

পুরনিগমের তরফ থেকে নোটিশ পাওয়ার পরেই গোটা ব্যাপারটিকে নস্যাৎ করে দেন অভিনেতা। তিনি বলেন, কোনও বেআইনি নির্মাণ হয়নি। এমন নোটিশ অনেকেই পেয়েছেন। নিশ্চয়ই জবাব দেওয়া হবে। সঠিক সময়ের আগেই উপযুক্ত জবাব দিয়ে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, মিঠুন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন এই আইনি নোটিশ পেয়েছেন। মাধ এলাকায় এমন অনেক বাড়ি রয়েছে যেগুলি বিনা অনুমতি ছাড়া এবং ভুয়ো নথি ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সঠিক সময়ে যদি জবাব না পাওয়া যায় তাহলে আগামী ৩১ মে- এর মধ্যে বাড়িগুলি ভেঙে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে পুরনিগমের তরফ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *