আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করতেই বাংলাদেশকে কড়া বার্তা ভারতের

Spread the love

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘উপযুক্ত প্রক্রিয়া ছাড়াই আওয়ামি লিগকে যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা উদ্বেগজনক। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বাভাবিকভাবেই গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা রোধ এবং রাজনৈতিক পরিসর ছোট করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। দ্রুত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন করানোর পক্ষে জোরালোভাবে সওয়াল করছি আমরা।’

আর ভারত সরকারের তরফে সেই মন্তব্য করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের উপরে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দল আওয়ামি লিগের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যকলাপের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারপর নির্বাচন কমিশনের তরফেও আওয়ামি লিগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এবার থেকে নির্বাচনেও লড়াই করতে পারবে না আওয়ামি লিগ।

শুধু তাই নয়, মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তো জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ যদি আওয়ামি লিগের পক্ষে পোস্ট করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। নেওয়া হবে ব্যবস্থা। মিছিল করলে বা বৈঠক করলেও নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ। 

সেই সিদ্ধান্তের পরই প্রশ্ন উঠেছে যে যাঁরা হাসিনার সরকারকে ফ্যাসিবাদ বলতেন, তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নিলেন, সেটা কতটা গণতান্ত্রিক? কারণ গণতান্ত্রিক হলে তো নির্বাচনে আওয়ামি লিগকে লড়াইয়ের সুযোগ দেওয়া হত। যদি সত্যিই বাংলাদেশের মানুষ সত্যিই আওয়ামি লিগকে সহ্য করতে না পারেন, তাহলে ভোটে হারিয়ে দিতেন। কিন্তু হাসিনাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগও দেওয়া হল না।স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে হাসিনারা জিতে যাওয়ার আশঙ্কায় কি আগেভাগেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল? তাছাড়াও এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তো প্রায় রোজই নিয়ম করে হাসিনাদের ফ্যাসিবাদী বলে উল্লেখ করে। সেই সরকার রাতারাতি সংশোধিত সন্ত্রাস-বিরোধী আইনের আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে কোন গণতন্ত্রের উদাহরণ পেশ করল?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *