অপারেশন সিঁদুরের পর রাজ্য সভা করতে আসায় নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে পালটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের(Amit Shah) আক্রমণের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বিজেপির বিজয় সংকল্প সভায় যোগদান করে এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন শাহ। বলেন, আগামী নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিঁদুরের মূল্য বুঝিয়ে দেবেন বাংলার মা – বোনেরা।
এদিন শাহ বলেন, ‘কিছুদিন আগে পহলগাঁওয়ে পাকিস্তানের পাঠানো সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের নির্দোষ নাগরিকদের, পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে পরিবারের সামনে হত্যা করেছে। এই পাকিস্তানের পাঠানো সন্ত্রাসবাদীদের সাজা দেওয়া উচিত কি না? মোদীজি অপারেশন সিঁদুর করে ঠিক করেছেন কি করেননি? আমরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছি, এয়ার স্ট্রাইক করেছি, আর এখন অপারেশন সিঁদুরে ১০০ কিমি ভিতরে গিয়ে ওদের হেড কোয়ার্টার ধ্বংস করে দিয়েছি। বহু সন্ত্রাসবাদী মারা গিয়েছে। আর দিদির পেটে ব্যথা হচ্ছে।’
মমতাকে শাহের প্রশ্ন, ‘বাংলার পর্যটকরা যখন ওখানে মারা গিয়েছিলেন তখন এই ব্যথা হলে ঠিক ছিল। তখন কিছু বলেননি। আর মোদীজি অপারেশন সিঁদুর করে এখানে এলে একটা নোংরা রাজনৈতিক মন্তব্য করে অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করেছেন। আমি মমতা দিদিকে বলতে এসেছি, আপনি অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করেননি, আপনি এই দেশের কোটি কোটি মা – বোনের ভাবাবেগের সঙ্গে ছেলেখেলা করেছেন। আমি বাংলার মাতৃশক্তিকে এই আবেদন করছি, আসন্ন নির্বাচনে অপারেশন সিঁদুরের ওপর প্রশ্ন তোলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিঁদুরের মূল্য বাংলার মা – বোনেরা একটু বুঝিয়ে দেবেন। সিঁদুরের অপমান করার ফল কী হয়।’

শাহ মনে করান, ‘১৯৯০ থেকে এই দেশ সন্ত্রাসবাদ সহ্য করছে। ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আতঙ্কবাদের শিকার হয়েছেন। এই কংগ্রেস – UPAর সরকার, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও মন্ত্রী ছিলেন কিচ্ছু করত না। নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসার পর গুলির জবাব গোলা দিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। মমতাজি আপনি যত খুশি পাকিস্তানের পাঠানো সন্ত্রাসবাদীদের হয়ে গলা চড়ান না কেন, আমি বলে যাচ্ছি, এটা নরেন্দ্র মোদী সরকার। এটা বিজেপি সরকার। অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি। এখন কেউ দুঃসাহস করবে, তাকে ততটাই জোরদার জবাব দেবেন নরেন্দ্র মোদীজি। আমি আজ আপারেশন সিঁদুরে আমাদের সাহসী সেনা ও বিএসএফ যে বীরত্ব দেখিয়েছ তাদের সবাইকে দুই হাত জুড়ে প্রণাম করছি।’