আগাম জামিন বহিষ্কৃত TMC নেত্রী বেবির

Spread the love

বাম নেতাকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় বেবি কোলে শর্মাকে আগেই দল থেকে বহিষ্কৃত করেছিল তৃণমূল। এই ঘটনায় গ্রেফতার এর আশঙ্কায় আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন বহিষ্কৃত নেত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি শর্তসাপেক্ষে আগাম জামিন পেলেন। এই মামলার শুনানি হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দায়রা আদালতে। বিচারক সঞ্জয় কুমার দাস বাদী, বিবাদী এবং সরকারি পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বেবিকে আগাম জামিনে মুক্তি দেন। তবে আগাম জামিনে শর্ত হিসেবে সপ্তাহে অন্তত একদিন খড়গপুর টাউন থানার মহিলা থানায় হাজিরা দিতে হবে এবং মামলার বাদী অনিল দাসকে বিরক্ত করা চলবে না।

এই আগাম জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ‘আমরা বামপন্থী খড়গপুর’ এর সম্পাদক অনিল দাস। তাঁর আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভগত দাবি করেছেন, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনাকে হালকা করে দেখিয়েছে। আর তাতেই বেবি কোলে জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সরকারি কৌঁসুলি শক্তিপদ দাস অধিকারীও জানিয়েছেন, আদালত স্পষ্ট ভাবে দুটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে জামিনে। অন্যদিকে অনিল দাস অভিযোগ তুলেছেন, পুলিশ পুরোপুরি মদত দিয়েছে বেবি কোলেকে। এই কারণেই তিনি জামিনে ছাড়া পেলেন। এর ফলে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস কমবে। ঘটনাচক্রে, খড়গপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় সিপিএম নেতা অনিল দাসকে জুতোপেটা করার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই শোরগোল পড়ে যায়। এরপরেই তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বেবিকে শোকজ করেন। তাঁকে তিন দিনের মধ্যে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, বেবি পাঁচ দিন পর জবাব দেন। সেটিও জেলা সভাপতির কাছে না পৌঁছে ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। পরে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে মনে করে তৃণমূল তাঁকে বহিষ্কার করে।

বেবি অবশ্য এই ঘটনায় মুখ খুলতে চাননি। তবে নিজের পাঠানো জবাবে জানিয়ে দেন, ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়, একেবারে ব্যক্তিগত বিষয়। তাই এতে দলের বদনাম হয়নি বলেই তাঁর দাবি। শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্ত হলেও, এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। শহরের আইনি ও রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই এই জামিন নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *