মঙ্গলবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১৪ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে হারিয়ে দেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআরের জয়ে ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন রিঙ্কু সিং(Rinku Singh)। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ৩৬ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ম্যাচের শেষে রিঙ্কু সিংকে জোড়া থাপ্পড় হজম করতে হয়। খেলার শেষে দু’দলের ক্রিকেটাররা যখন নিজেদের মধ্যে গল্প গুজবে ব্যস্ত, ঠিক তখন আচমকাই রিঙ্কু সিংয়ের গালে চড় মারেন দিল্লির তারকা স্পিনার কুলদীপ যাদব। একবার নয়, বরং পরপর ২ বার রিঙ্কুকে থাপ্পড় মারেন কুলদীপ।
যদিও আইপিএলের মঞ্চে এস শ্রীসন্তকে যে রকম থাপ্পড় মেরেছিলেন হরভজন সিং, এটা ঠিক তেমন থাপ্পড় নয়। নিতান্ত মজার ছলেই রিঙ্কুর গালে চড় কষান কুলদীপ। আচমকাই কুলদীপ হাত চালিয়ে দেওয়ায় রিঙ্কু অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। তবে দ্বিতীয়বার চড় খাওয়ার পরে রিঙ্কু সিংকে রীতিমতো গম্ভীর দেখায়।
রিঙ্কুকে রেগে যেতে দেখেই নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন যে, হাসি-ঠাট্টা হলেও ক্যামেরার সামনে কুলদীপের এরকম আরচণ কতটা যুক্তিযুক্ত। দিল্লির স্পিনার এক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলেও দাবি করছেন নেটিজেনদের একাংশ। এমনকি তাঁকে নির্বাসিত করার দাবিও উঠতে শুরু করেছে।
কুলদীপ যাদব কেকেআর ম্যাচে ৩ ওভার বল করে ২৭ রান খরচ করেন। যদিও কোনও উইকেট পাননি তিনি। শুধু এই ম্যাচেই নয়, বরং আইপিএলে ঠিক এর আগের ২টি ম্যাচে আরসিবি ও লখনউয়ের বিরুদ্ধেও উইকেটহীন থাকেন কুলদীপ। অর্থাৎ, চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে টানা তিন ম্যাচে কুলদীপের উইকেটের ভাঁড়ার শূন্য। সেই হতাশা থেকেই কুলদীপ মস্করার সময় মাত্রা ছাড়ালেন কিনা, প্রশ্ন উঠতে পারে সেই বিষয়েও।কোটলায় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২০৪ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৪ রান করেন অংকৃষ রঘুবংশী। রিঙ্কুর ৩৬ ছাড়া রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২৬, সুনীল নারিন ২৭, অজিঙ্কা রাহানে ২৬ ও আন্দ্রে রাসেল ১৭ রান করেন। দিল্লির হয়ে ৩টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালস ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৯০ রানে আটকে যায়। ফ্যাফ ডু’প্লেসি ৬২ ও অক্ষর প্যাটেল ৪৩ রান করেন। কেকেআরের সুনীল নারিন ৩টি উইকেট দখল করেন।