চলতি বছরের অক্টোবরে ২০২৩ সালের পর ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর মাসে রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনীয় অঞ্চলে ২৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা আগের মাসের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেশি। তাছাড়া একই মাসে ইউক্রেনে ৫ হাজার ২৯৮টি দূরপাল্লার ড্রোন নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া।
এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করা। এটি পরপর চতুর্থ বারের মতো ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংসের চেষ্টা রাশিয়ার।
এসব হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে কিয়েভের প্রায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছে। বিদ্যুতের এই ঘাটতি মোকাবিলায় বর্তমানে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং চলমান।প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় হামলা এবং অসংখ্য বেসামরিক মানুষের জীবন ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে গত বছর রুশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

গত মাসে এক ব্রিফিংয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই ধরনের হামলাকে ‘বিশৃঙ্খলা’ তৈরির চেষ্টা বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার উদ্দেশ্য হলো নাগরিকদের মধ্যে ভয় ও মানসিক চাপ তৈরি করা, যাতে তাদের প্রতিরোধের শক্তি দুর্বল হয়।
অপরদিকে রাশিয়ার এসব হামলার জবাবে ইউক্রেনও রাশিয়ার তেল ডিপো ও রিফাইনারিতে হামলা চালাচ্ছে। এতে বর্তমানে দেশটিতে উল্লেখযোগ্য জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে।