আতঙ্কে কাশ্মীরের জঙ্গলেই লুকিয়ে থাকতে পারে জঙ্গিরা

Spread the love

পরপর গুলি পহেলগাঁওতে। একের পর এক নিরীহ পর্যটককে হত্যা করে কাপুরুষের মতো পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। তাদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। তবে ইতিমধ্য়েই একাধিকজনকে জেরা করা হয়েছে। মূলত দেখা হচ্ছে কোথা দিয়ে এসেছিল জঙ্গিরা। সকলের চোখে ধুলো দিয়ে গুলি চালিয়ে কোন দিকে পালাল তারা?

ড্রোন উড়িয়েও চলছে তল্লাশি। সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে অনন্তনাগ পুলিশের তরফে। কিন্তু কোথায় গেল সেই জঙ্গিরা?

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এনআইএ সোর্স জানিয়েছে, ওই জঙ্গিরা জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার মতো রসদ নিয়ে বেরিয়েছিল। এতেই বোঝা যাচ্ছে কেন তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।

মনে করা হচ্ছে সব মিলিয়ে চারজন জঙ্গি ছিল সামনে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে একের পর এক গুলি চালায় তারা। ঘটনার পরেই চম্পট দেয় তারা। সেনা ও স্থানীয় পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। এলাকায় ঘোষণা করা হচ্ছে কারোর সঙ্গে জঙ্গি যোগ থাকলেই কড়া ব্যবস্থা। তবে এনআইএ সোর্স মারফত এনডিটিভি জানতে পেরেছে যে সম্ভবত জঙ্গিরা নিজেদের রসদ নিয়ে রয়েছে। তারা স্বনির্ভর হতে পারে। সেকারণে তারা গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে পারে। সেকারণে তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।

একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে স্থানীয়স্তরে কারা এই হামলায় নিয়োজিত জঙ্গিদের সহায়তা করেছিল তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এলাকায় চলছে কড়া নজরদারি।অন্তত ১৪জন স্থানীয় ওই জঙ্গিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে হামলার অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে জঙ্গিরা এলাকায় এসেছিল।

একাধিক এলাকায় তারা রেইকি চালিয়েছিল। কিন্তু সেখানে সেনার কড়া পাহারা ছিল। এরপরই তারা পহেলগাঁও এলাকায় হামলা চালানোর জন্য় বেছে নেয়।

সম্ভবত ১৫ এপ্রিল জঙ্গিরা এই এলাকায় এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। লস্করের এক শীর্ষ নেতা এই ২২ তারিখের হামলার উপর নজর রাখছিল। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসেছিল ওই জঙ্গিরা। এরপর হামলা চালিয়ে তারা জঙ্গলে চলে যায় বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সম্ভবত তিনটি স্যাটেলাইট ফোন তারা ব্যবহার করেছিল। যাতে ভারতীয় সেনা তাদের নাগাল না পায় সেকারণে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে তিনজন জঙ্গি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হামলা চালিয়েছিল। একজন লুকিয়ে ছিল জঙ্গলেই। তাদের ব্যাক আপ দেওয়ার জন্য লুকিয়ে ছিল সে। এরপর কোথায় গেল তারা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *