বাংলাদেশী গায়ক মইনুল আহসান নোবেলের জীবন যেন বিতর্কে ভরা। কখনও অতিরিক্ত নেশাগ্রস্ত হয়ে বিতর্ক তৈরি করেন তিনি কখনও আবার এমন কিছু বলে বসেন, যা বিতর্ক তৈরি করে। তবে এবার যা ঘটল, তাতে বলা চলে নোবেলের কোনও হাত নেই। একপ্রকার বাধ্য হয়েই করতে হল এমন কাজ। কী করলেন নোবেল? কে দিল নির্দেশ?
কিছুদিন আগে নোবেলের বিরুদ্ধে এক তরুণী ধর্ষণ এবং অপহরণের অভিযোগ এনেছিল। তরুণীর অভিযোগ অনুযায়ী, টানা সাত মাস নাকি একটি ঘরে নোবেল তাঁকে আটকে রাখে। ক্রমাগত চলতে থাকে নির্যাতন এবং ধর্ষণ। গোটা ব্যাপারটি ক্যামেরাবন্দিও নাকি করে রেখেছিলেন নোবেল, যার সাহায্যে ওই তরুণীকে তিনি করতেন ব্ল্যাকমেল।
ওই তরুণী নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও নোবেলের প্রথম স্ত্রী গোটা ব্যাপারটিকে সাজানো বলে দাবি করেছিলেন। একটি মেয়ে কীভাবে কাউকে কিছু না বলে নোবেলের সঙ্গে দেখা করলেন আবার কীভাবে ৭ মাস নোবেলের সঙ্গে থাকলেন, সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এতদিন ওই তরুনীর বাড়ির লোক কেন খোঁজ খবর করেননি, সেই বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন সালসাবেল মাহমুদ।
তবে এবার গোটা ঘটনায় এল চাঞ্চল্যকর মোড়। যে তরুণী অভিযোগ এনেছিলেন নোবেলের বিরুদ্ধে, জেল হেফাজতে তাঁকেই বিয়ে করলেন নোবেল। বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই বিয়েতে শুধু নোবেল এবং ওই তরুণী নন, সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরও ৪ জন।

প্রসঙ্গত, নোবেলের ঘটনাটি আদালতে উঠলে ওই তরুণীকে নোবেল নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছিলেন। যদিও সঠিক তথ্য দেখাতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী। তাই গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তরফ থেকে নোবেলকে ওই অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেওয়া হয়।