আদালতে জমা পড়া নয়া DNA রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য

Spread the love

এবার কলকাতা হাইকোর্টে আরজি কর চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন মামলায় আরও চাঞ্চল্যকর একটি রিপোর্ট জমা পড়ল। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষের ডিএন‌এ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম মজুমদার এই রিপোর্ট জমা করেছন। সিবিআই-এর জমা দেওয়া সিএফ‌এস‌এল রিপোর্টকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে পার্থপ্রতিম মজুমদারের রিপোর্টে।

কী আছে ডিএনএ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম মজুমদারের রিপোর্টে? রিপোর্টে বলা হয়েছে, সঞ্জয় রায় ছাড়াও ক্রাইম সিনে উপস্থিত থাকতে পারেব আর‌ও এক মহিলা। তিলোত্তমার দেহ সঞ্জয় ছাড়াও সেই মহিলা স্পর্শ করে থাকতে পারেন বলে দাবি সেই বিশেষজ্ঞ রিপোর্টে। ক্রাইম সিনে সঞ্জয় ছাড়াও অন্য পুরুষের উপস্থিতিও অসম্ভব নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

এর আগে গত মার্চ মাসে এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে প্রশ্ন করেছিল, আরজি কর মামলায় কি নির্যাতিতা কি গণধর্ষণের শিকার?উল্লেখ্য, আরজি কর মামলায় যে সিবিআই তদন্তে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফের তদন্তের দাবিতে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন খুন হওয়া চিকিৎসকের পরিবার। তবে এই মামলা হাইকোর্ট শুনতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল আইনি জটিলতা। পরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, হাইকোর্টের এই মামলা শুনতে বাধা নেই।

উল্লেখ্য, ২০২৫ সালেরই ২০ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক অনির্বাণ দাস। এদিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমনা দিতে হবে সঞ্জয় রায়কে। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি আদালতের তরফ থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩ (ধর্ষণ), ৬৪ (ধর্ষণের সময় এমন ভাবে আঘাত করা, যাতে মৃত্যু হয়), ১০৩ (১) নং (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।এই আবহে সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০,০০০ টাকা জরিমানা, ৬৬ ধারায় আওতায় আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ১০৩ (১) ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবনের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে বিচারক নির্দেশ দেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাষ্ট্রকে। বিচারক বলেছিলেন, এই মামলা বিরলের থেকে বিরলতম নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *