আন্দোলনের হুঁশিয়ারি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের

Spread the love

ফের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে অশিক্ষক কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সামনে এসেছে। তাঁদের প্রধান অভিযোগ, এক সহকর্মীর সাসপেনশন দীর্ঘদিন ধরে রাখা হয়েছে। প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অবিলম্বে সাসপেনশন তুলে নিতে হবে। এছাড়া কর্মীদের ওপর ভয়ভীতি প্রদর্শন, দুর্নীতি এবং বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও উঠেছে। এই সব বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করার ঘোষণা করেছেন।

সোমবার রেজিস্ট্রারের দফতরের সামনে অশিক্ষক কর্মীদের সংগঠন ‘সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি’র সদস্যরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম বজায় রেখেই আজ মঙ্গলবার থেকে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করবেন। তাঁরা দাবি করেছেন, দ্রুত সহকর্মী তপন নাগের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। তাঁদের আরও দাবি, নিরাপত্তা সংক্রান্ত টেন্ডার বাতিলসহ বিভিন্ন অন্যান্য সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। বিক্ষোভের মাঝেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে তাঁরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কুমার রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কর্মীদের মধ্যে কিছু অভিযোগ রয়েছে, সেগুলি নিয়মমতো তদন্ত কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তপন নাগের বিষয়ে বলেন, ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি কয়েকবার বৈঠক করেছে এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তিনি সকলের প্রতি শান্তিপূর্ণ ও দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, কেউ যদি বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করতে চান তাহলে করবেন। তাঁর পক্ষে একা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন।

অন্যদিকে, কর্মীদের সংগঠন দাবি করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের টালবাহানার কারণে সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। তাঁরা উল্লেখ করেছেন, প্রায় ১০ মাস ধরে বিভিন্ন দাবি ও অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে সমস্যাগুলি মেটেনি। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে তাঁরা বিক্ষোভে নামছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াবেন বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *