বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই একটি ছবি মুক্তি পায় ওটিটি প্লাটফর্মে, তারপরেই টেলিভিশনে। এইভাবে জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে যায় একটি ছবি। তবে এর ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয় সেই ছবিটি। সিনেমাকে এই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই তাই এবার একটি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমির খান।
‘লাপাতা লেডিস’ ছবির কথা উল্লেখ করে আমির খান বলেছিলেন, একটি সিনেমা মুক্তির ৮ সপ্তাহের মধ্যে যদি সেটি ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুক্তি পায় তাহলে সেই সিনেমার আর্থিক ক্ষতি হয়ে যায়। ‘সিতারে জামিন পর’ তাই শুধুই মুক্তি পাবে বড় পর্দায়, ডিজিটাল প্লাটফর্মের তরফ থেকে ১২০ কোটি টাকার অফারও ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এবার আমিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে শোনা গেল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে।
আমিরের ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে এমন পদক্ষেপ শুধুই আমির খান নিতে পারেন। তিনিই পারেন এমন ঝুঁকি নিতে। তবে আমার মনে হয় না এতে খুব একটা পরিবর্তন আসবে। একটি ছবি প্রথমে বড় পর্দায় তারপর ডিজিটাল প্লাটফর্ম এবং সবশেষে স্যাটেলাইট টেলিভিশনে মুক্তি পায়। এইভাবেই একটি ছবি দর্শকদের কাছাকাছি পৌঁছে যায়।’
প্রসেনজিৎ আরও বলেন, ‘আমির বহুদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। আমিরের সিদ্ধান্ত যদি সত্যি সফল হয় তাহলে শুধু ওর জন্য নয় এটা সকলের জন্য একটা জয়ের কারণ হবে। সত্যিই আমরা ভীষণ আনন্দিত হব। এবার দেখা যাক কি হয়।’

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তারে জামিন পর’ ছবির সিক্যুয়েল এই ছবিটি। তবে ছবির ট্রেলার মুক্তি পেতেই অনেকে দাবি করেছিলেন সিনেমাটি স্প্যানিশ ছবি ‘চ্যাম্পিয়নস’ ছবির হুবহু নকল। সিনেমায় একজন বাস্কেটবল কোচের ভুমিকায় অভিনয় করেছেন আমির।
এই সিনেমায় আমি ছাড়াও অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া ডিসু’জা। অভিনয় করেছেন আরুশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বনসালি, আশিস পেন্ডসে, ঋষি শাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র এবং সিমরন মঙ্গেশকর।