আমির সোহেলকে বোল্ড করে পাক দলকে জবাব দেওয়া প্রসাদের কড়া বার্তা

Spread the love

Venkatesh Prasad’s message after Pakistan ceasefire violation: পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বেঙ্কটেশ প্রসাদ। সালটা ছিল ১৯৯৬, সেই সময়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। সেই ম্যাচে ভারতের বেঙ্কটেশ প্রসাদকে পাকিস্তানের আমির সোহেল কড়া চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন। 

প্রসাদের বলে চার মেরে তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা করেছিলেন আমির সোহেল। তারপরেই সোহেলকে বোল্ড করে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছিলেন বেঙ্কটেশ প্রসাদ। এরপরে ভারতীয় বোলারের প্রতিক্রিয়া আজও ক্রিকেটভক্তরা মনে রেখেছেন।

বার সেই বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেছেন। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটা ‘লঙ্ঘন’ করেছিল পাকিস্তান। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেই ভারতের আক্রমণ করেছিল পাকিস্তান। উল্লেখযোগ্যভাবে, এর আগেই ভারত ও পাকিস্তান যৌথভাবে একটি সরকারি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিল। উভয় দেশের সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর-জেনারেলস অফ মিলিটারি অপারেশনস (DGMO) সম্মত হন স্থল, আকাশ বা সমুদ্র—কোনও মাধ্যমেই আর কোনও শত্রুতা চলবে না।

ভারতের তরফ থেকে এই যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করা হয়। ভারত সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, ‘ভারত ও পাকিস্তান গুলিবর্ষণ ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। ভারত সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও আপসহীন অবস্থান নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকবে।’

কিন্তু সন্ধ্যার দিকে হঠাৎই শ্রীনগরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যার ফলে কাশ্মীর ও জম্মু জুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি হয় ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা দেখা যায়। একইসঙ্গে ভারতের এয়ার ডিফেন্স ফোর্স পাকিস্তানি ড্রোনকে পোকরণ (রাজস্থান) ও বারামুল্লা (কাশ্মীর)-তে গুলি করে ভূপাতিত করে, যার ফলে আবারও উত্তেজনা বেড়ে যায়।

এই ঘটনার পর ভারতের প্রাক্তন পেসার বেঙ্কটেশ প্রসাদ ‘এক্স’ (পূর্বতন টুইটার)-এ পাকিস্তানকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি লেখেন, ‘ওই দেশে তিনটি শক্তিকেন্দ্রে রয়েছে—সেনাবাহিনী, আইএসআই ও প্রধানমন্ত্রী। এই তিনের মধ্যে যদি একজনও কিছুতে রাজি হয়, বাকি দুজন রাজি না হলে কিছুই সম্ভব নয়।’

তিনি আরও জানান, গত তিনদিনের উত্তেজনা যথেষ্ট ছিল না, এবার পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেবে ভারত। বেঙ্কটেশ প্রসাদ লেখেন, ‘গত তিন দিন যথেষ্ট ছিল না, এবার এই উস্কানির জবাবে ভারত পাকিস্তানকে চিরকালের মতো শিক্ষা দেবে।’ 

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এর জবাবে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থাকা নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। এরপরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয় ও এরপরে আবারও আক্রমণ চালায় পাকিস্তান। তারপরেই কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেন বেঙ্কটেশ প্রসাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *