যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক কেটামিন এবং অন্যান্য মাদক নেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। শনিবার (৩১ মে) এমন একটি প্রতিবেদন অস্বীকার করেন মাস্ক।শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা এত বেশি কেটামিন, (একটি শক্তিশালী চেতনানাশক) ব্যবহার করেছিলেন যে তার মূত্রাশয়ের সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এক্সট্যাসি এবং মাশরুম গ্রহণ করেছিলেন এবং গত বছর একটি পিল বাক্স নিয়ে ঘুরতেন।
এতে আরও জানানো হয়, জানুয়ারীতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর তথাকথিত ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এর দায়িত্বে থাকাকালীন মাস্ক মাদক গ্রহণ করতেন কিনা তা জানা যায়নি।
শনিবার সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মাস্ক বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে, আমি মাদক গ্রহণ করছি না। নিউ ইয়র্ক টাইমস মিথ্যা কথা বলছিল।’
মাস্ক আরও বলেন, ‘আমি কয়েক বছর আগে ‘প্রেসক্রিপশন’ কেটামিন চেষ্টা করেছিলাম এবং এক্সে তা বলেছিলাম। তাই এটি কোনো খবর নয়। এটি অবসাদগ্রস্ততা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। যা সেই সময়ের পর থেকে আর গ্রহণ করিনি।’
শুক্রবার ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সাথে ডিওজিই প্রধান হিসেবে বিদায়ী অনুষ্ঠানে মাস্ক প্রথমে তার মাদক ব্যবহারের বিষয়ে একটি প্রশ্ন এড়িয়ে যান। সেখানে টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রধান কর্মকর্তার চোখে একটি কালো দাগ দেখা যায় যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এর আগে ট্রাম্প ক্ষমতায় বসে মাস্ককে ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির দায়িত্ব দেন। এই দায়িত্বে থাকার সময় খরচ কমানোর নামে কয়েক হাজার সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্ত করেন মাস্ক।
নিউইর্য়ক টাইমস মাস্কের মাদক ব্যবহারের অভিযোগের প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই তার চোখে কালো আঘাতের খবরটি যথেষ্ট মনোযোগ আকর্ষণ করে। মাস্ক কিভাবে আঘাতটি পেলেন এ নিয়ে সবার মনে প্রশ্নও দেখা দেয় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
তবে মাস্ক জানান, তার ছোট ছেলে, যার নাম এক্স, তার সাথে ঘোড়ায় চড়ে খেলার সময় তিনি শিশুটিকে মুখে আঘাত করতে বললে তার চোখে কালো দাগ হয়।
এদিকে, শুক্রবার রাতে একজন সাংবাদিক যখন ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি মাস্কের ‘নিয়মিত মাদক সেবন’ সম্পর্কে জানেন কিনা, তখন ট্রাম্প উত্তর দেন যে তিনি তা জানতেন না।