আমেরিকায় ৪৪০০ কোটি টাকার ‘ঋণ জালিয়াতি করে উধাও’ ভারতীয় বংশোদ্ভূত

Spread the love

প্রায় ৪,৪০০ কোটি টাকার জালিয়াতির ঘটনায় নাম জড়িয়ে গেল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির নাম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঋণ তছরূপে খুইয়ে ফেলা ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪,৪০০ কোটি টাকা) উদ্ধারের চেষ্টা করা চালাচ্ছে আমেরিকার লগ্নিকারী ফার্ম ব্ল্যাকরকের সংস্থা এবং অন্যান্য সংস্থা। আর সেই ঋণ জালিয়াতির পুরো ব্লু-প্রিন্ট নাকি তৈরি করেছিলেন আমেরিকার ব্রডব্যান্ড টেলিকম এবং ব্রিজভয়েসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও বঙ্কিম ব্রক্ষভট্ট। যে জালিয়াতির ঘটনাকে অভাবনীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বঙ্কিমের আইনজীবী। বিস্তারিতভাবে অবশ্য কিছু জানানো হয়নি।

ভারত ও মরিশাসে টাকা পাঠিয়ে দিতেন বঙ্কিম?

তারইমধ্যে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের অগস্টেই ভারতীয় বংশোদ্ভূতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে। যে মামলায় দাবি করা হয়েছে, আর্থিক অবস্থা নিয়ে একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি ভারত এবং মরিশাসে টাকা পাঠিয়ে দিতেন বঙ্কিম। লোনের মর্টগেজ হিসেবে যা থাকত, সেগুলি নিয়ে জালিয়াতি করা হত। যে জালিয়াতির ঘটনাটি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ঘটেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

আর সেই বিষয়টি সামনে এসেছে ব্ল্যাকরকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে এইচপিএস ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারকে অধিগ্রহণ করেছিল বিশ্বের প্রথমসারির অন্যতম লগ্নিকারী সংস্থা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বঙ্কিমের সঙ্গে যোগ থাকা সংস্থাকে ধার দিতে শুরু করেছিল এইচপিএস। পরবর্তীতে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২১ সালে বিনিয়োগের অঙ্কটা ছিল ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার। যা ২০২৪ সালের অগস্টে বেড়ে ৪৩০ মিলিয়ন ডলারে ঠেকেছিল।

বঙ্কিম ব্রক্ষভট্ট আসলে কে?

১) Entrepreneur Middle East-র সাক্ষাৎকারে নিজেকে টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার থেকে হয়ে ওঠা এক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেন। যিনি ১৯৮৯ সালে ভারতে ভারতে পুশ-বাটনের টেলিফোন তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। ধীরেধীরে তিনি স্যাটেলাইট ডিস, টেলিকম বিলিং, ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সলিউশনসের মতো ক্ষেত্রেও শাখাপ্রখাশা বিস্তার করেন।

২) মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযোগ উঠেছে যে বঙ্কিম আপাতত ভারতে আছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে নিউ ইয়র্কে বঙ্কিমের অফিসে যাওয়া হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল যে অফিসে কেউ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *