আরও ঘোরালো হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি

Spread the love

নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ফুঁসছে রাজ্যের পশ্চিমের নদীগুলি। প্লাবিত বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়ার একাংশ। জল বাড়ছে কংসাবতী, শিলাবতী, দ্বারকেশ্বরের মতো নদীগুলিতে। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসিও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবারই প্লাবিত জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। দিন কয়েকের টানা বর্ষণের পর বৃহস্পতিবার বৃষ্টি থামলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া করছে। কারণ আগামী সপ্তাহে আসছে আরও এক নিম্নচাপ।

দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে প্লাবিত পশ্চিমের জেলাগুলি। রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। যার জেরে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে পশ্চিমের নদীগুলিতে। বন্যা কবলিত বাঁকুড়ার পাত্রসায়র, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ও ঘাটাল। শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। আপাতত জল নামার লক্ষণ নেই। তবে বৃহস্পতিবারের পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমায় আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই। তবে তাদের জন্য রয়েছে আরও আশঙ্কার খবর। পূর্বাভাস বলছে, আগামী সপ্তাহেও নিম্নচাপের জেরে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। ভারী বর্ষণ হতে পারে ছোটনাগপুরের মালভূমিতেও। যার ফলে প্লাবিত হতে পারে নতুন এলাকা। আরও জটিল হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি।

পূর্বাভাস অনুসারে, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে আরও একটি নিম্নচাপ ছোটনাগপুরের মালভূমিতে প্রবেশ করবে। এর জেরে সোমবার থেকে ফের বৃষ্টিপাত শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। মঙ্গল ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে ছোটনাগপুরের মালভূমিতে। এর ফলে পশ্চিমের নদীগুলিতে নতুন করে জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে। এখানেই শেষ নয়, জুলাই মাসের প্রথমে আরও একটি নিম্নচাপ আঘাত হানতে পারে। তার জেরেও ভারী বর্ষণ হতে পারে একাধিক জেলায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *