‘আর সিঁদুরের ডাব্বা বিতরণ করে কী হবে?’

Spread the love

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, মন্ত্রী নিজেই নিশ্চিত করেছেন যে পাকিস্তানের অনুরোধেই যুদ্ধবিরতি শুরু করা হয়েছিল।

প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘বোঝা যাচ্ছে যে ভারত শক্ত অবস্থানে ছিল এবং পাকিস্তান লড়াই বন্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত এত তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়ে পাকিস্তানের উপর আরও দু’দিন অভিযান চালিয়ে যেতে পারত।’ এরপর মোদীকে কটাক্ষ করে পিকের বক্তব্য, ‘আর সিঁদুরের ডাব্বা বিতরণ করে কী হবে?’

বিহারের পূর্ব চম্পারণে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘দেশের বিদেশমন্ত্রী অত্যন্ত সুশিক্ষিত এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। তাঁর প্রতি আমার প্রচুর শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি তাঁর বিবৃতি পড়েছি। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের অনুরোধ ও উদ্যোগে যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। সুতরাং পাকিস্তান যদি যুদ্ধবিরতি চেয়ে থাকে, তার মানে ভারতের সেনাবাহিনী ঠিকই বলেছে – আমরা তাদের পরাজিত করেছি। তাই লড়াই বন্ধ করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। তাহলে আপনি রাজি হলেন কেন?’

প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতার কৃতিত্ব দাবি করেছেন। সম্ভবত তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের আশায় এমনটা করছেন। আমরা কেন ট্রাম্পকে বিশ্বাস করব? আমি এই ইস্যুতে শুধুমাত্র ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যেই আস্থা রাখব। আর তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, পাকিস্তানের অনুরোধেই যুদ্ধবিরতি হয়েছে।’

পিকে আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী এবং জনগণ উভয়ই ইতিমধ্যে তাদের মন তৈরি করে ফেলেছে। যেহেতু সরকার সাইরেন বাজিয়ে মক ড্রিল করেছে, তাই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে তাদের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল। এবং পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত ছিল। এর বদলে সরকার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর ফলে এখন সিঁদুরের বাক্স বিতরণ করে কোনও লাভ হবে না। এখন যখন যুদ্ধবিরতি হয়ে গেছে, আপনি কেন জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *