ইউক্রেনে একরাতে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা রাশিয়ার

Spread the love

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রোববার (৮ জুন) রাতে ৪৬০টি ড্রোন ও ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলাকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোরে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা ৪৬০টি ড্রোন এবং ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনার আহ্বান এবং বন্দি বিনিময়ের মধ্যেই রাশিয়া এই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো।

কিয়েভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লক্ষ্যবস্তুতে ছোড়া শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে মাত্র ১০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছে। এ ঘটনায় একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রিভনের মেয়র ওলেকসান্ডার ট্রেটিয়াক বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে একরাতে ড্রোন হামলাটি ছিল তার অঞ্চলে ‘সবচেয়ে বড় আক্রমণ’।

এদিকে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নতুন একটি দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক শহরে প্রবেশের দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

রোববার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের নিপ্রো অঞ্চলের সীমানা অতিক্রম করেছে পুতিন বাহিনী। এদিন দোনেৎস্ক অঞ্চলের জোরিয়া গ্রাম দখলেরও দাবি করেছে মস্কো। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ সৈন্যরা সেখানে তাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছে। পাশাপাশি, রাশিয়া ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের সুমি অঞ্চলেও অগ্রগতি দেখিয়েছে।

তবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, নিপ্রো অঞ্চল দখলের বিষয়ে রাশিয়া মিথ্যা খবর রটাচ্ছে। যদিও পরিস্থিতি স্পষ্ট নয়, তবে যদি রাশিয়ার দাবি সত্য হয়, এটি হবে ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এরমধ্যেই ইস্তাম্বুল চুক্তির অধীনে ইউক্রেনীয় সেনাদের ১ হাজার ২১২টি মৃতদেহের প্রথম চালান হস্তান্তরের দাবি করেছে রাশিয়া। তবে কিয়েভের আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের অপেক্ষায় আছে মস্কো।

অন্যদিকে ইউক্রেনের ‘স্পাইডার ওয়েব’ নামের এক গোয়েন্দা অভিযানে রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বহরের এক তৃতীয়াংশ ধ্বংসের দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্র এই দাবির সঙ্গে পুরোপুরি একমত না হলেও প্রায় ১০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *