গত সপ্তাহে ইজরায়েল প্রথম হামলা চালিয়েছিল ইরানের ওপর। তারা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ লঞ্চ করে ইরানের ইসলামিক শাসনের বিরুদ্ধে। এরপর গত ১৩ জুন থেকে ইরান ও ইজরায়েল পরস্পরবিরোধী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রোজই। ইজরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ইরান গত ১৩ জুন থেকে তাদের দেশে প্রায় ৪০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং শত শত ড্রোন নিক্ষেপ করেছে, যাতে ২৪ জন নিহত এবং ৮০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের জবাবে ইজরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে তেহরান সহ ইরনের বিভিন্ন জায়গায়। তাতে এখনও পর্যন্ত ৬৩৯ জন ইরানি নিহত হয়েছেন। শুধুমাত্র তেহরানেই ২০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইজরায়েলি বিমান বাহিনী, যার মধ্যে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাও রয়েছে। এদিকে ইরানও পালটা তেল আবিব সহ ইজরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তবে সেই মিসাইলগুলির বেশিরভাগেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়নি বলে দাবি করেছে ইজরায়েল।
এরই মধ্যে বুধবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরানের ওপর সম্ভাব্য সামরিক হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর হামলার বিষয়ে আলোচনা চলতে থাকলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিছু সূত্র আবার সপ্তাহান্তে সম্ভাব্য হামলার কথা উল্লেখ করেছে।

এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ট্রাম্প ইরানকে লক্ষ্য করে একটি সামরিক হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছিলেন। তবে তেহরান তাঁর দাবি পূরণে শেষ পর্যন্ত পদক্ষেপ করবে কিনা তা বিবেচনা করতে হামলার চূড়ান্ত অনুমোদন আটকে দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ট্রাম্প একটি হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করলেও চূড়ান্ত অনুমোদন স্থগিত রেখেছেন। তিনি এই আশায় এই হামলা আপাতত স্থগিত রেখেছেন যে, ইরান তাঁর শর্তে রাজি হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই পশ্চিমা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে পারে। এরই মাঝে ট্রাম্প বুধবার বলেন, তিনি হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে আবারও দেখা করার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে যোগ দিলে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি।