ইমাম ভাতা পেত বাংলাদেশি মাদ্রাসা শিক্ষক!

Spread the love

বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে দীর্ঘদিন ধরে ভারতে ছিল। শুধু ছিলই না, রীতিমতো সরকারি ইমাম ভাতার সুবিধাও পেত সে। এহেন মহম্মদ সেলিম আনসারিকে এবার ধরল বিএসএফ। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএসএফ-এর ৬ নম্বর ব্যাটালিয়ন মেখলিগঞ্জের বাগডোকরা-ফুলকাডাবরির অর্জুন সীমা চৌকিতে টহল দেওয়ার সময় ধরা পড়েছিল আনসারি। 

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেন বিএসএফ জওয়ানরা। সেই সময় তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় সীমা চৌকিতে। সেখানেই বসিয়েই জেরা করা হয় তাকে। সেখানেই জানা যায়, সেই ব্যক্তি আদতে বাংলাদেশি নাগরিক। নাম মহম্মদ সেলিম আনসারি, বয়স ৩৩ বছর।

বিএসএফ জানতে পারে এই আনসারির বাড়ি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার অন্তর্গত এলাকায়। সে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় মায়ের সঙ্গে বসবাস করত। সেখানে একটি সেলাইয়ের দোকানে কাজও করত সে। এছাড়াও স্থানীয় এক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে তিনি মকরামপুর দক্ষিণপাড়া মসজিদের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হয় সে। একই সঙ্গে একটি স্থানীয় মাদ্রাসায় শিক্ষকতাও করত সেই ব্যক্তি।

এদিকে এই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নাকি আবার অন্যের নামে ইমাম ভাতা পর্যন্ত তুলত। জেরায় সে জানিয়েছে যে ইমাম ভাতার জন্য আবেদনের সময় সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি তার কাছে ছিল না। এই আবহে অন্য এক স্থানীয় ব্যক্তির নামে আবেদন করে সেই সুবিধা সে গ্রহণ করছে। মাসে মাসে যে ভাতা অ্যাকাউন্টে ঢুকত, তা সেই অন্য ব্যক্তির সঙ্গে ভাগ করে নিত আনসারি। 

বিএসএফ-এর উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি মোহিত ত্যাগী জানান, ধৃতকে কুচলিবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে আনসারি যে দুই ভারতীয়র সাহায্যে সীমান্ত পার করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে সেলিম আনসারির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সেলিম জানিয়েছে, বাংলাদেশে থাকা তার দাদার সঙ্গে দেখা করতে দালাল ধরে সীমান্ত পারের চেষ্টা করছিল সে। তখন বিএসএফ ধরেছিল তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *