ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে শতাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বিমানবাহিনী। হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা ছাড়াও পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরাইলের এই নিখুঁত হামলা চালানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
ইসরাইলি নিরাপত্তা সূত্রগিুলো জানিয়েছে, মোসাদের কমান্ডোরা শুক্রবার ইসরাইলি হামলার আগে ইরানের মধ্যে বেশ কয়েকটি গোপন অভিযান পরিচালনা করেছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব অভিযানের মধ্যে আছে ইরানের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কাছাকাছি খোলা জায়গায় নিখুঁত নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র মোতায়েন, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তি এবং তেহরানের কাছে একটি অ্যাটাক-ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন।
ইসরাইলের সামরিক এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, ইরানে হামলায় জড়িত সব ইসরায়েলি পাইলট নিরাপদে বাড়ি ফিরে এসেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদেশি সাংবাদিকদের একটি দলের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই কর্মকর্তা বলেন, বিমান বাহিনী ইসরাইলের দিকে লক্ষ্য করা ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোসাদ কমান্ডোরা মধ্য ইরানে বিমান বিধ্বংসী স্থানগুলোর কাছেও নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে।
ইসরাইল এই সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘রাইজিং লায়ন’ (উদীয়মান সিংহ)। তাদের দাবি, এই হামলার লক্ষ্য ইরানের সামরিক কমান্ডার ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা।