ইরান-ইসরাইলের মধ্যে কয়েকদিন ধরে টানা পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এর মধ্যে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর হাইফায় হামলা চালিয়েছে ইরান। এ সময় হাইফায় তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, ইসরাইলি শহর হাইফায় সাইরেন বাজতে থাকে এবং বিমান বাহিনী তেহরানের উপর হামলার ঘোষণা দেয়।
মধ্য ইসরাইল এবং তেল আবিবেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ইরানি মিডিয়া পূর্ব তেহরানে এবং মেহরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা রোববার ওমানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার বলেছেন যে তা বিলম্বিত হবে।
হাইফায় ইরানের হামলা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দাবি করা হয়, গতকাল ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের দিকে ছোড়া হয়, যার লক্ষ্য ছিল হাইফা ও তেল আবিব।
চ্যানেল ১২, টাইমস অব ইসরাইলসহ ইসরাইলি গণমাধ্যমেও হাইফায় বিস্ফোরণ, বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের খবর দেয়া হয়।

ওয়াশিংটন পোস্ট আরও জানিয়েছে, হাইফায় ইসরাইলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটি আছে। এছাড়া বেশ কিছু তেল শোধনাগার ও বহু রাসায়নিক কারখানা আছে শহরটিতে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার হাইফা এলাকায় অবস্থিত।
রয়টার্স জানায়, হাইফা দীর্ঘদিন ধরে একটি বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে বলা হয়, হাইফা ইসরাইলের প্রধান গভীর সমুদ্রবন্দর। ইসরাইলের সামুদ্রিক বাণিজ্যের একটি বড় অংশ এখান থেকে পরিচালিত হয়। এছাড়া ইসরাইলের মোট পণ্য পরিবহনের প্রায় অর্ধেকই এই বন্দর দিয়ে পরিবাহিত হয় বলেও জানায় বার্তা সংস্থাটি।