ইরানে ইসরাইলের চলমান হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছিল, তেহরানের কাছে এমন প্রমাণ আছে বলে দাবি করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। রোববার (১৫ জুন) তিনি এমন দাবি করেন।ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক সভায় আরাঘচি বিদেশি কূটনীতিকদের সামনে বলেন, ‘আমাদের কাছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী এবং এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোর যে সমর্থন ছিল তার দৃঢ় প্রমাণ আছে।’
এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি আরাঘচি।
ইরানে ইসরাইলের হামলার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নেই রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্য করার পর আরাঘচির বক্তব্য প্রকাশিত হলো।
এর আগে ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের উপর কোনো আক্রমণ করে, তাহলে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ণ শক্তি দিয়ে তেহরানের ওপর এমনভাবে আক্রমণ করা হবে যা আগে কখনও দেখা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে ইসরাইল ‘রেড লাইন অতিক্রম করেছে।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তীব্র নিন্দা করে অভিযোগ করেন যে, তারা ইরানে ইসরাইলের মারাত্মক হামলার বিষয়ে ‘উদাসীনতা’ দেখাচ্ছে।
এছাড়া ইসরাইল ইরানের ওপর হামলা বন্ধ করলে ইরানও জবাব দেয়া বন্ধ করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, রোববার রাতভর ইসরাইল ও ইরান নতুন করে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যা উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে এবং বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
ইসরাইলি বাহিনী ইরান জুড়ে বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে বোমা হামলা চালানোর পর, ইরান বন্দর শহর হাইফাসহ ইসরাইল জুড়ে অসংখ্য লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া রোববার ভোরে, তেহরানে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলের ভয়াবহ হামলার পর ইসরাইলে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান।