ঈদের দ্বিতীয় দিনেও আর্তনাদে ভারি গাজার আকাশ। ইসরাইলি হামলায় একদিনে নিহত হয়েছেন আর ৭১ জন। এর মধ্যে গাজা সিটির সাবরা এলাকায় একসঙ্গে প্রাণ হারান ১৬ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গাজায় নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় অনাহারে ভুগছেন হাজারো ফিলিস্তিনি।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় দখলদার বাহিনীর নির্বিচার হামলায় নগ্ন সমর্থন দেয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্ককে হুমকি দিয়েছেন জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা। গত শনিবার (৭ জুন) এক ভিডিও বার্তায় এ হুমকি দেন গোষ্ঠীটির ইয়েমেন শাখার নেতা সাআদ বিন আতেফ আল-আওলাকি।
আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার (একিউএপি) ভিডিও বার্তায় বলা হয়, ‘গাজায় আমাদের জনগণের সাথে যা ঘটেছে এবং যা ঘটছে তার পরে কোনো রেড লাইন নেই।’
প্রায় আধা ঘণ্টার ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প ও মাস্কের ছবি, টেসলাসহ মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোগো এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের ছবিও দেখানো হয়।
গাজায় শনিবার ঈদের দ্বিতীয় দিনেও উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইল। ফিলিস্তিনিদের আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে উপত্যকার আকাশ-বাতাস। এদিন নিহত হন আরও ৭১ জন। এর মধ্যে গাজা সিটির সাবরা এলাকায় একসঙ্গে প্রাণ হারান ১৬ ফিলিস্তিনি। আহত হন আরও অনেকে।

গাজা শহরের সাবরা এলাকার ভবনের নিচতলা থেকে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। শিশু আর বৃদ্ধদের কান্নার শব্দ ছাপিয়ে শোনা যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের আর্তচিৎকার। অঞ্চলটিতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। অনেক ভবন একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। ভবনগুলোতে বেসামরিক নাগরিকরা ছিলেন।
গাজা সিটির আবু শারিয়া পরিবারের বাড়িতে ছিলও ২৫ জন। সবাই ঈদের নামাজ শেষে সকালের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেই মুহূর্তেই আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্র। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন অনেকে।
ইসরাইলের হামলার মধ্যেই উপত্যকাটিতে নিত্যপণ্যের দাম প্রায় আকাশচুম্বী। এক লিটার রান্নার তেলের দাম প্রায় ছয় হাজার টাকা। আবার এক কেজি চিনির দাম সাত হাজার ছাড়িয়েছে।
এক কেজি গুঁড়ো দুধ কিনতে গাজাবাসীকে ব্যয় করতে হচ্ছে ১২২৪ টাকা, ময়দা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার একশো টাকা কেজিতে। এক কেজি লবণের দাম ৭০০ টাকা। প্রতি কেজি আলু ২,৮০০ টাকা আর টমেটো ১,৫৭৪ টাকা।