উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ঠাঁই পেল আরও একজন

Spread the love

তৎকাল পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি (পিপিএস) ও পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ (পিপিআর)-এর ফলাফল প্রকাশ হতেই এবারের উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় যুক্ত হল আরও একজনের নাম। সব মিলিয়ে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বাড়ল ২,৬৮৯ জনের। এদের মধ্য়ে ২০ জনের ক্ষেত্রে নম্বর বৃদ্ধির পরিমাণ ৩০-এরও বেশি! যদিও সর্বোচ্চ কত নম্বর বেড়েছে, সেটা সংসদের তরফে জানানো হয়নি।

এই প্রসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘প্রায় ৫ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ৩০ লক্ষ খাতা দেখতে হয়। যদিও গত বছরের তুলনায় এ বছর পুনরায় নম্বর বিবেচনায় অনেক কম সংখ্যক পড়ুয়ারই নম্বর বেড়েছে। তবে ২১ থেকে ৩০ এবং ৩০-এর বেশি নম্বর পেয়েছে ৩২ জন, এই সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। তাই আরও একবার সংসদ যাচাই করে দেখবে।’

এবছরের উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় (প্রথম ১০ জন) প্রাথমিকভাবে নাম ছিল ৭২ জনের। এবার সেই সংখ্য়া বেড়ে হল ৭৩। কারণ, আলিপুরদুয়ারের সালকুমার হাট হাইস্কুলের পড়ুয়া মৌমা বিশ্বাসের প্রাপ্ত নম্বর ছিল – ৪৮৭। স্ক্রুটিনিতে তা আরও ২ নম্বর বেড়ে হয়েছে ৪৮৯। ফলে একাদশ স্থানে থাকা মৌমা চলে এসেছে নবম স্থানে। আগে থেকেই সেই স্থানে ছিল ১৭ জন। এবার সেটা বেড়ে হল ১৮।

জানা গিয়েছে, পিপিআর-এ মোট বিষয়ভিত্তিক উত্তরপত্র জমা পড়েছিল ৬,১০১টি। তার মধ্যে ১,৬০২ জনের নম্বর বদলেছে। বাকি ৪,৪৯৯ জনের ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। অন্যদিকে, পিপিএস-র ক্ষেত্রে মোট ৫,৪৫৪ টি উত্তরপত্র জমা পড়েছিল পুনর্মূল্যায়নের জন্য। তার মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরে পরিবর্তন হয়েছে ১,০৮৭ জনের ক্ষেত্রে। বাদবাকি ৪,৩৬৭ জনের প্রাপ্ত নম্বর একই থেকেছে।প্রসঙ্গত, এবারের উচ্চমাধ্যমিকের তৎকাল স্ক্রুটিনি ও রিভিউ-র জন্য আবেদন গ্রহণ করা শুরু হয়েছিল গত ৮ মে রাত ১২টা থেকে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১১ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। তবে, তৎকাল ছাড়াও (রেগুলার ভিত্তিতে) স্ক্রুটিনি ও রিভিউ-র জন্য আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সেই আবেদন জানানোর শেষ তারিখ আগামী ২২ মে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *