উত্তরাখণ্ডে ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অলকানন্দা নদীতে উল্টে গেল পর্যটক ভর্তি টেম্পো ট্রাভেলার। বাসে মোট ১৮ জন সওয়ার ছিলেন। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হলেও, উদ্ধার করা গিয়েছে সাত জনকে। কিন্তু ১০ জন এখনও নিখোঁজ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন স্থানীয়রাও। মানববন্ধন করে দুর্ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে বাসটি উপরে উঠছিল। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী সমেত বাসটি অলকানন্দা নদীতে পড়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর পেয়েই পুলিশ ও উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। যদিও তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। তবে হতাহতের সংখ্য়া বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। পুলিশ সদর দফতরের মুখপাত্র আইজি নীলেশ আনন্দ ভরনে জানিয়েছেন, ‘রুদ্রপ্রয়াগ জেলার ঘোলাথির এলাকায় একটি টেম্পো যাত্রী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অলকানন্দা নদীতে পড়ে যায়। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাসটিতে ১৮ জন যাত্রী সওয়ার ছিলেন।’গাড়ওয়াল বিভাগীয় কমিশনার বিনয় শঙ্কর পান্ডে বলেছেন, ‘রুদ্রপ্রয়াগ জেলার ঘোলথিরে ১৮ আসনের একটি টেম্পো ট্রাভেলার অলকানন্দা নদীতে পড়ে যায়। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।’

জানা গিয়েছে, বাসটি রাজস্থান থেকে আসছিল, তাতে মোট ১৮ জন যাত্রী ছিলেন। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা যাত্রীর। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন সাতজন। আহতদের মধ্যে ৯ বছর বয়সী দুই শিশুও রয়েছে। আহত দুই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকার্য তদারকি করছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। গুজব ছড়ানো নিয়ে সাবধান করা হয়েছে সকলকে। দুর্ঘটনার তথ্য দিয়ে সচিব বিনোদ কুমার সুমন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি টেম্পো ট্রাভেলার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গাড়িটি যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল।অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন।