‘উন্নয়নের বন্যায়’ ভাসতে পারে পড়শি বাংলাদেশ

Spread the love

বর্ষা এখনও আসেনি। তার আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে অবস্থিত আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে গতকাল। উল্লেখ্য, প্রায় একবছর আগেই আত্রেয়ী নদীর ওপর এই বাঁধ নির্মণের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। আর এর মধ্যেই বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। এদিকে দাবি করা হচ্ছে, এই বাঁধ ভেঙে পড়ায় প্রভাব পড়তে চলেছে পড়শি বাংলাদেশেও।

২০২২ সালে আত্রেয়ী নদীর বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল বালুরঘাটের চকভৃগুতে। ২০২৪ সালে বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। এরপর ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই বাঁধের গার্ডওয়াল ভেঙে গিয়েছিল। সেই জায়গায় বালির বস্তা ফেলে মেরামতির কাজ চলছিল। এই আবহে গত ২০ মে ভোররাতে বাঁধের প্রায় ৪০ ফুট অংশ ধসে পড়ে।

এই আত্রেয়ী নদী বাংলাদেশ হয়ে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রবেশ করে এবং পরে আবার সেটি বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বালুরঘাটের দক্ষিণে বাংলাদেশে আত্রেয়ী নদীর জলস্তর বেড়েছে। এর জেরে বাংলাদেশে আত্রেয়ী নদীর তীরে থাকা মানুষজনে রওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। প্লাবিত হতে পারে চাষ জমি।

এদিকে বাঁধ ভাঙার খবর পেয়েই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। পরে তৃণমূলকে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার লেখেন, মাস কয়েক আগেই আকস্মিকভাবে ভেঙেছিল সেতু, এবার আত্রেয়ী নদীর উপর কংক্রিট দ্বারা নির্মিত বাঁধের প্রায় ৪০ ফিট লম্বা অংশ জলের স্রোতে ভেসে গেল! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চূড়ান্ত অনুপ্রেরণায় রাজ্যে সর্বত্র ‘উন্নয়নের বন্যা’ নিয়ে আসা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুর্ভাগ্য বারবার তাঁদের বিফলতা জনসমক্ষে প্রমাণিত হচ্ছে।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা অশোক মিত্র বলেন, ‘বিজেপির কাজ রাজনৈতিক বিরোধিতা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে নিয়েও তারা এ কথা বলেন, নদীর জল কখন বাড়বে তা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। এ ভাঙনের পেছনে কোনো মানুষের হাত নেই। দুর্নীতির অভিযোগ তোলার আগে বিজেপিকে নিজের ঘরে নজর দিতে হবে। বালুরঘাট রেলস্টেশনে তৃতীয় শ্রেণির লিড ব্যবহার করে যে কাজ হচ্ছে, সেটি কি দুর্নীতি নয়?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *