‘উপযুক্ত জবাব…’ টুইট পরেশের! হেরা ফেরি-কাণ্ড

Spread the love

‘হেরা ফেরি ৩’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের সঙ্গে তৈরি হওয়া ঝামেলার কারণে খবরে পরেশ রাওয়াল। এবার গোটা বিবাদের আপডেট দিয়ে একটি টুইট শেয়ার করেছেন অভিনেতা। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর পক্ষের আইনজীবীরাও এই মামলায় জড়িয়েছেন।

পরেশ রাওয়াল টুইট করেছেন, ‘আমার আইনজীবী অমিত নায়েক আমার প্রস্থান সম্পর্কে আমার যথাযথ প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছেন। তারা আমার জবাব পড়লেই সব সমস্যার অবসান হবে। পরেশ সম্ভবত অক্ষয়ের করা স্বল্প সময়ের নোটিশে সিনেমা ছাড়ার জন্য মামলা করার কথা বলেছেন।’

বলিউড হাঙ্গামার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ‘পরেশ সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ১৫ শতাংশ সুদ এবং আরও কিছু অর্থ সহ ১১ লক্ষ টাকার সাইনিং অ্যামাউন্ট ফেরত দিয়েছেন। টার্ম শিট অনুযায়ী পরেশ রাওয়ালকে সাইনিং অ্যামাউন্ট হিসেবে ১১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মোট পারিশ্রমিক ছিল ১৫ কোটি টাকা।’

গত সপ্তাহে পরেশ রাওয়ালের কাণ্ড হতবাক করে দেয় গোটা বলিউডকে। সমানভাবে হতবাক দর্শকরাও। কারণ প্রায় ২০ বছর ধরে হেরা ফেরির তৃতীয় পার্টের জন্য অপেক্ষা করছিল দর্শকরা।

অক্ষয় কুমারের কেপ অফ গুড ফিল্মসের এরপর জানান যে, পরেশের এই সিদ্ধান্তে ‘গুরুতর আইনি পদক্ষেপ’ নেওয়া হবে।

জানানো হয়, ‘আমি মনে করি, এর জন্য কঠোর আইনি পরিণতি ভোগ করতে হবে। এতে অবশ্যই ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্ষতি হয়েছে। আমরা তাঁকে চিঠি লিখে জানিয়েছি যে এর সঙ্গে অনেক আইনি পরিণতি জড়িত রয়েছে।’

‘অভিনেতাদের পেছনে, কলাকুশলীদের পেছনে খরচ হয়েছে, শীর্ষস্থানীয় অভিনেতাদের জন্য, লজিস্টিক সরঞ্জাম, ট্রেলারের শুটিংয়ের জন্য খরচ হয়েছে। রাওয়াল জানুয়ারিতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে এই প্রকল্পে তার জড়িত থাকার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এরপর ট্রেলারের শুটিংয়ে চুক্তিবদ্ধ হন। ছবির কিছু অংশের শুটিং হয়েছে, যা প্রায় সাড়ে তিন মিনিটের। হঠাৎ, কিছুদিন আগে, আমরা পরেশজির কাছ থেকে একটি নোটিশ পাই যে তিনি আর এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান না। এটি অবশ্যই সবাইকে হতবাক এবং বিস্মিত করেছে।’

চুক্তি থেকে সরে আসার পরিণতি সিনেমার জন্য ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পরেশকে আইনি নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছিল এবং এখন তিনি তা করেছেন।

রাওয়াল হেরা ফেরির প্রথম দুটি কিস্তিতে বাবুরাও গণপতরাও আপ্তের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যা যথাক্রমে ২০০০ এবং ২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল। প্রথম ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন প্রিয়দর্শন, যিনি তৃতীয় কিস্তির সঙ্গেও যুক্ত। কেন পরেশ তৃতীয় কিস্তি না করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *