এবার সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাতেও পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত। সন্ত্রাসবাদে পাক ভূমিকার কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক অনুপমা সিং পাকিস্তানকে তোপ দাগেন। ভারতের জবাব দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করে পাকিস্তানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের জন্ম দেয়। এরপর সেই নিজেদের সেই সন্ত্রাসবাদের শিকার হিসাবে তুলে ধরে সহানুভূতি কুড়োতে পারে না তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক ও সংগঠকরা যে কাজ চালায়, তা ভুলে গেলে চলবে না। জবাবে ভারত অপারেশন সিঁদুর শুরু করে, যা সুনির্দিষ্ট এক অভিযান ছিল। এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসের পরিকাঠামোর উপরে সেই অভিযান চালানো হয়েছিল।’
ভারতের সংযমের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তাদের সাধারণ মানুষরা যাতে আমাদের অভিযানের লক্ষ্যবস্তু না হয় বা তারা ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, তা নিশ্চিত করতে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। আমাদের নিশানা ছিল কেবলমাত্র পাকিস্তান-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী এবং তাদের সুপরিচিত আস্তানাগুলি।’
অনুপমা এরপর আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে মিথ্যা আখ্যান চালিয়ে যাচ্ছে, স্ত্রাসবাদ ইস্যুটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।’ তিনি স্পষ্ট কথায় পাকিস্তানকে তোপ দেগে বলেন, ‘যে রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের জন্ম দেয়, সে রাষ্ট্র ভিকটিম হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে না।’ অনুপমা সিংয়ের বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই।কে এই অনুপমা সিং? অনুপমা সিং নয় বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবায় কূটনীতিক হিসাবে কাজ করছেন। আইএফএসে যোগদানের আগে, তিনি ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কেপিএমজিতে কাজ করেছিলেন। সেখানে তিনি পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন এবং পরে সিনিয়র পরামর্শদাতার ভূমিকায় দায়িত্ব সামলেছিলেন।

এরপর তিনি ২০১৪ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল একাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে প্রশাসনে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। অনুপমা সিং কর্পোরেট ফাইন্যান্স, মূল্যায়ন এবং পোর্টফোলিও পরিচালনায় স্পেশালাইজেশনের সাথে ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সিএফএ প্রোগ্রামও করেছিলেন। এর আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ফ্যাকাল্টি থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ স্নাতক, মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।