রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) অস্থায়ী সদস্য হিসাবে পাকিস্তানের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ধাক্কা লেগেছে। চারটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির সভাপতিত্ব করতে চাওয়া পাকিস্তান কেবল ১৯৮৮ তালিবান নিষেধাজ্ঞা কমিটির সভাপতিত্বই পেয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানকে শুধুমাত্র ১৩৭৩ কাউন্টার টেররিজম কমিটির (সিটিসি) ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ আনুষ্ঠানিক পদ।
পাকিস্তান যে চারটি কমিটির সভাপতিত্ব করতে চেয়েছিল সেগুলি হল ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটি (যার মধ্যে আল-কায়দা এবং আইএসআইএস অন্তর্ভুক্ত), ১৫৪০ কমিটি (বিস্তার রোধ চুক্তি), ১৯৮৮ তালিবান নিষেধাজ্ঞা কমিটি এবং ১৩৭৩ কাউন্টার টেররিজম কমিটি (সিটিসি)। তবে শুধু ১৯৮৮ সালের কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বই পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক দাবির কারণে, ইউএনএসসিতে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি, যার ফলে কমিটিগুলির পদ বণ্টনে প্রায় পাঁচ মাস বিলম্বিত হয়েছিল। ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে এই কমিটিগুলির চেয়ারম্যান বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তানের এই একগুঁয়ে ও অগ্রহণযোগ্য মনোভাব নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্যরা খুশি ছিল না।

রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্য – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন ইচ্ছাকৃতভাবে এই কমিটিগুলির প্রধান হতে চায় না কারণ এই পদগুলির প্রকৃত ক্ষমতা সীমিত এবং এই কমিটিগুলির সিদ্ধান্ত কেবল ঐকমত্যের মাধ্যমেই নেওয়া যেতে পারে। এই আবহে পাকিস্তান একটি কমিটির মাথায় বসলেও তাতে তাদের ‘দাম’ বাড়বে না। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্সি ভারতের জন্য কী অর্থ বহন করে? ভারত এর আগে ২০২২ সালে সিটিসির সভাপতিত্ব করেছে এবং এর আগে ২০১১-১২ সালেও এই পদে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা ও ভূমিকা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী। সূত্রের খবর, তালিবান কমিটিতে রাশিয়া ও গায়ানার মতো বন্ধু রাষ্ট্রের সমর্থন পাবে ভারত।