পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার হিসারের ৩৩ বছর বয়সি ইউটিউবার ও ভ্রমণ ব্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা তথ্যের পর এই মামলায় জ্যোতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই জ্যোতিরই একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে ইফতারে অংশ নিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানি আধিকারিকদের সঙ্গে জ্যোতির জড়িত থাকার জোরালো প্রমাণ হয়ে উঠেছে এই ভিডিওটি। জ্যোতিকে এই ভিডিয়োতে পাকিস্তান দূতাবাসের এক কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করতে দেখা যায়। সেই ভিডিয়োতেই জানা যায়, জ্যোতি এর আগেও ওই অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওই কর্মকর্তার নাম আহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশ। আহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই ভারত সরকার ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করে এবং ১৩ মে দেশ থেকে বহিষ্কার করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্যোতি একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছিলেন যেখানে তিনি নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনে অনুষ্ঠিত ইফতার নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন। ভিডিয়োতে তাঁকে অনুষ্ঠানের জাঁকজমকের প্রশংসা করতে দেখা গেছে এবং বারবার পাকিস্তান ভ্রমণ ও ভিসা পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

ভিডিয়োতে দেখা যায়, পাকিস্তান হাইকমিশনের আইএসআই কর্মকর্তা আহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। জ্যোতি ও দানিশের কথোপকথন থেকে এটা স্পষ্ট যে তাঁরা একে অপরকে আগে থেকেই চিনতেন। তিনি তাঁর সাথে ভালোভাবে পরিচিত বলে মনে হয়। কথোপকথনের সময় জ্যোতি তাঁদের পূর্ববর্তী সাক্ষাতগুলি স্মরণ করেন এবং দানিশ নিজের স্ত্রীর সাথে আলাপ করিয়ে দেন জ্যোতির।জানা দিয়েছে, আহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশ পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মকর্তা ছিলেন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র মতে, দানিশ গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ সম্পর্কিত তথ্যসহ ভারতের স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তদন্তে জানা গেছে, জ্যোতি মালহোত্রা ২০২৩ সালে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রথম পাকিস্তান সফরে যান। সেখানেই তাঁর দেখা হয়েছিল দানিশের সঙ্গে।