এবারে নতুন চ্যাম্পিয়নকে দেখতে চান অরুন ধুমাল

Spread the love

২০২৮ থেকে আইপিএল-এ অনুষ্ঠিত হতে পারে ৯৪টি ম্যাচ! তবে আপাতত বিসিসিআইয়ের নতুন কোনও দলের পরিকল্পনা নেই বলেই জানা যাচ্ছে। ২০২৮ সাল থেকে আইপিএল মরশুমে ৯৪টি ম্যাচ দেখা যেতে পারে। অর্থাৎ বর্তমানের তুলনায় ২০টি ম্যাচ বাড়ানোর কথা ভাবছে বিসিসিআই। বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বিসিসিআই (BCCI)। তবে, নতুন কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি যুক্ত করার কথা এখনই পরিকল্পনা নেই তাদের। এমনটাই জানিয়েছেন আইপিএল চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল।

বর্তমানে আইপিএল ৭৪ ম্যাচের ফরম্যাটে চলছে। ২০২৫ সালে ৮৪ ম্যাচে সম্প্রসারণের কথা থাকলেও সময়সূচির জটিলতা ও ব্রডকাস্টারদের আপত্তির কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ২০২৮ সালের নতুন মিডিয়া রাইটস চক্রে আইপিএলকে পূর্ণাঙ্গ হোম-অ্যান্ড-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এর জন্য প্রয়োজন হবে ৯৪টি ম্যাচের দীর্ঘ মরশুম।

আইপিএল চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল বলেন, ‘ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বিবর্তিত হলে আইপিএলের পরিধি বাড়ানো হতে পারে। তবে এখনই তা সম্ভব নয়।’ নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি সংযোজন নিয়ে ধুমাল স্পষ্ট করে দেন, ‘এই মুহূর্তে ১০টি দলই যথেষ্ট। মান বজায় রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

২০২৫ সালের আইপিএল ইতিমধ্যেই একটি সফল আসর হয়েছে বলে ধুমালের দাবি। একই সঙ্গে তিনি চান, এ বছর এমন একটি দল চ্যাম্পিয়ন হোক যারা এখনও আইপিএল ট্রফি জেতেনি। যেমন দিল্লি ক্যাপিটালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বা পঞ্জাব কিংসের মতো কোনও দল। ধুমাল আরও জানান, ফ্যানদের ভালবাসা ও সম্প্রচারের বিপুল সাড়া আইপিএলের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিচ্ছে, এবং আগামী বছরগুলিতেও এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে বিসিসিআই আশাবাদী।

২০২২ সালে গুজরাট টাইটান্স (GT) এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG) দলের সংযোজনের পরে আইপিএল ৭৪ ম্যাচের বর্তমান ফরম্যাটে সম্প্রসারিত হয়েছিল। ২০২৫ সালের জন্য ৮৪ ম্যাচে উন্নীত করার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও, টুর্নামেন্টের সময়সূচি সংকট এবং ব্রডকাস্টারদের অতিরিক্ত ডাবল হেডারের প্রতি অনীহার কারণে তা বিলম্বিত হয়ে যায়। তবে মাঝারি মেয়াদে সম্প্রসারণের চিন্তা এখনও রয়েছে।

আগামী দুই বছর আইপিএলের উইন্ডো আন্তর্জাতিক ভবিষ্যত সফর কর্মসূচিতে (FTP) ইতিমধ্যেই নির্ধারিত হয়েছে। প্রতি বছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট চলবে। তবে আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল ইএসপিএনক্রিকইনফো-কে জানিয়েছেন, ২০২৮ সালে পরবর্তী মিডিয়া রাইটস চক্র শুরু হলে ৯৪ ম্যাচের সম্পূর্ণ হোম-অ্যান্ড-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে সম্প্রসারণের বিষয়ে বিসিসিআই সিরিয়াসলি ভাববে।

ধুমাল বলেন, ‘নিশ্চয়ই, এটা একটা বড় সুযোগ হতে পারে। আইসিসি এবং বিসিসিআই-তে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভক্তদের আগ্রহ যেভাবে বদলাচ্ছে — দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসি ইভেন্টগুলোর তুলনায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রতি — সেই পরিবর্তনকে মাথায় রেখে আমাদের আরও গভীরভাবে আলোচনা করতে হবে এবং ক্রিকেটের সব স্টেকহোল্ডারদের সর্বোচ্চ মূল্য কীভাবে দেওয়া যায় তা দেখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আদর্শভাবে, আমরা চাই একটি বড় উইন্ডো এবং হয়তো ৭৪ থেকে ৮৪ বা ৯৪ ম্যাচে যেতে। যাতে করে প্রতিটি দল একে অপরের বিরুদ্ধে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে পারে, তার জন্য ৯৪টি ম্যাচ প্রয়োজন। তবে বর্তমান সময়সূচি এবং দ্বিপাক্ষিক ও আইসিসি ইভেন্টগুলির প্রতিশ্রুতি মাথায় রেখে তা এখনই সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বিবর্তিত হলে তখন আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’

ধুমাল উল্লেখ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজের পরে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিয়েছি, তারপরে আবার আইপিএল শুরু হয়েছে। এই কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২০২৫ সালে ৭৪ থেকে ৮৪ ম্যাচে যাওয়া ঠিক হবে না। তবে উপযুক্ত সময় এলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

পরবর্তী FTP আলোচনার সময় আইপিএলের উইন্ডো বাড়ানোর বিষয়টিও আলোচনায় আসবে। টিভি ও স্ট্রিমিং দর্শকসংখ্যা সাধারণত আইপিএলের মাঝামাঝি সময়ে কমে যায়, যার জন্য সম্প্রচারকরা দর্শক ক্লান্তিকে দায়ী করে থাকেন। ২০২৫ সালের আইপিএল প্রায় নয় সপ্তাহ চলবে এবং ১২টি ডাবল হেডার নির্ধারিত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ হোম-অ্যান্ড-অ্যাওয়ে মরশুম চালাতে আরও দুই সপ্তাহের অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হতে পারে।

নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি যুক্ত করার কোনও তাড়াহুড়ো আপাতত নেই। ধুমাল বলেন, ‘এখন ১০টি দলই যথেষ্ট। টুর্নামেন্টের আকর্ষণ এবং খেলার মান রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি স্বল্পমেয়াদে নতুন দলের কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কেমন দাঁড়ায়, তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *