পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার আবহে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে পাকিস্তানের। ক্রমেই বাড়ছে চাপানউতোর। এর মধ্যেই সতর্ক রয়েছে পাকিস্তান। পাক সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন ভারতীয়কে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। এরপর থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পহেলগাঁও হামলার পর গোপন অভিযানের আশঙ্কা করছে পাকিস্তান। এই আবহে সূত্রের খবর, হাফিজ সইদের নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের প্রাক্তন কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া লাহোরে মহল্লা জোহরের বাড়িসহ তার বাসভবনের আশপাশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি এলাকায় রাখা হয়েছে, যেটা ঘনবসতিপূর্ণ।
এদিকে বহুদিন ধরে ভারত দাবি জানিয়ে আসছে যাতে হাফিজ সইদকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে পাকিস্তান তা মানতে নারাজ। মুম্বই হামলার সঙ্গে পাক যোগ থাকার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে এসেছে ইসলামাবাদ। এমনকী তাহাউর রানার গ্রেফতারির পরও দায় ঝেরে ফেলতে পাক সরকার বলেছে, রানা তো কানাডার নাগরিক।উল্লেখ্য, হাফিজ সইদ লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড এবং ভারত সরকার তাকে খুঁজছে। এ ছাড়া সইদকে আমেরিকার সরকারও খুঁজছে। সম্প্রতি লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংও পহেলগাঁওয়ে হামলার বদলা নেওয়ার কথা বলেছিল। এই দলটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সইদের ছবি শেয়ার করে পাকিস্তানে বড় হামলা করার হুমকি দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এহেন পরিস্থিতিতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাফিজ সইদ বর্তমানে সরকারি ভাবে কারাগারে রয়েছে এবং তার বাড়িটিকে সাব জেলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, হাফিজ সইদের বাড়ির এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কার্যকলাপ মনিটরিংয়ের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, যা কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের সাতটি মামলায় হাফিজ সইদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে সেই সব পাকিস্তানের ‘আই ওয়াশ’। গত তিন বছরে হাফিজ সইদ দুই ডজনেরও বেশি বার জনসমক্ষে এসেছে বলে জানা গেছে। সেই সময়ে, এই জঙ্গি নেতার সুরক্ষা বৃত্তে প্রাক্তন পাক কমান্ডোদের দেখা গেছে। যার মধ্যে এসএসজির প্রাক্তন কমান্ডোরাও ছিলেন।