এবার ইনস্টায় যিশু আনফলো করলেন মেয়ে আর বউ সারা-নীলাঞ্জনাকে

Spread the love

২০২৪ সালে সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা টলিউড, চর্চার অন্যতম বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল যিশু সেনগুপ্তর ব্যক্তিগত জীবন। আচমকাই দীর্ঘ ২১ বছরের দম্পত্য ভাঙার খবরে যেন নড়েচড়ে বসে সবাই। প্রথমটায় বিশ্বাসই হচ্ছিল না কারও। সেই সময় শোনা যেতে শুরু করে যে, অভিনেতা নাকি নিজের আপ্ত সহয়াকের প্রেমে পড়েছেন। এমনকী, মুম্বইতে দুজন লিভ ইনও করছেন। এরপরই দেখা যায় যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বরকে আনফলো করে দিয়েছেন নীলাঞ্জনা। সেনগুপ্ত মুছে হয়ে গিয়েছেন শর্মা। এমনকী, যিশুকে ইনস্টায় আনফলো করে দেন বড় মেয়ে সারাও। তবে সেইসময় কিন্তু পরিবারকে ফলোই করতেন যিশু সেনগুপ্ত। এমনকী, সারার বেশ কিছু পোস্টে থাকত বাবার লাইকও।

সারা ও নীলাঞ্জনাকে আনফলো যিশুর

তবে এখন দেখা গেল যে, ইনস্টায় যিশুর ফলোয়ার্সের তালিকা থেকে মিসিং হয়ে গিয়েছে দুটো নাম, নীলাঞ্জনা শর্ম আর সার সেনগুপ্ত। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ছোট মেয়ে জারা সেনগুপ্তকে এখনও ফলো করছেন খাদান অভিনেতা।

সদ্য কেরিয়ার শুরু করেছেন সারাবি পুরোদমে। যদিও অভিনয় নয়, মায়ের মতো মডেলিংকেই আপাতত বেছে নিয়েছেন সারা। বেশিরভাগটা সময়ই থাকেন মুম্বইতে। ধীরে ধীরে ফ্যাশন শো, বিজ্ঞাপনের বড় মুখ হয়ে উঠেছেন যিশু-কন্যা। কলকাতা থেকে দূরে থাকায়, পরিবারকে মিস করেন বছর ২০-র মেয়েটি। কিন্তু প্রতিটা পোস্টেই থাকে শুধু মা আর বোনের কথা! এমনকী, সাক্ষাৎকারেও সারা অকপটে জানান, তাঁর রোল মডেল মা নীলাঞ্জনা। যা থেকে বারংবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে বাবা ও মেয়ের মধ্যেকার এই দূরত্ব।

গত বছর কোনো পুজো-পার্বণ বা অনুষ্ঠান, কখনোই নীলাঞ্জনা বা দুই মেয়ের পাশে ছিলেন না যিশু। খবর, লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে আর আসেন না তিনি, কলকাতায় এলেও। এমনকী, দুজনে আলাদা আলাদা প্রযোজন সংস্থাও খুলেছেন। নীলাঞ্জনা শুরু করেন ‘নিনি চিনিস মাম্মাস প্রোডাকশন’, আর সৌরভের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যিশু খুললেন, ‘হোয়াই সো সিরিয়াস ফিল্মস’।

সত্যিই কি মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই যিশুর?

খাদান মুক্তির আগে যিশু স্পষ্ট করেছিলেন, ‘মেয়েদের সঙ্গে কথা হয়’! বলা বাহুল্য, তখনও যিশুর ফলোইং তালিকায় জ্বলজ্বল করত সারার নামটা। তবে দাম্পত্য ভাঙা নিয়ে প্রশ্ন নীরবতাই ধরে রাখেন। বরং পালটা কটাক্ষ করে তাঁর জবাব ছিল, তাঁকে নিয়ে যে নেতিবাচকতা চারদিকে, তা উপভোগই করছেন আজকাল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *