বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ চোরা পথে ভারতে অনুপ্রবেশ করে এখানেই বসবাস করছে। দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু বিভিন্ন জায়গায় এই সব বাংলাদেশিরা কাজ করে। এরপর বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের বাড়িতে টাকাও পাঠায় তারা। অনেকেই ইদের সময় চোরা পথে বাংলাদেশে গিয়ে কয়েকদিন করে কাটিয়েও আসে। এদের অনেকেই এখানে বিয়ে করেছেন। এই ধরনের অবৈধবাসীদের সম্প্রতি বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করছে ভারত। আর তাতেই আপত্তি বাংলাদেশের।
এই আবহে পুশব্যাক নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, ‘পুশ-ইন আমরা লক্ষ্য করছি। এটা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। এমনটা হতে থাকবে আর আমরা বসে থাকব, এটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। বিজিবি এটা নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছে এবং সরকারও এ বিষয়ে অবগত। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন আছে এমনটা মনে হলে সরকারের নির্দেশে অবশ্যই সেনাবাহিনী সেটাতে যাবে।’
এদিকে হাসিনার জমানায় একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল যে কয়েক লাখ ভারতীয় নাকি বাংলাদেশে বসবাস করছে এবং কাজ করছে। এই নিয়ে বিশেষ ভাবে সরব ছিলেন বর্তমানের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তবে হাসিনাকে গদিচ্যুত করে মহম্মদ ইউনুসের সরকার আসার পর থেকে একজন অবৈধবাসী ভারতীয়কেও চিহ্নিত করে বাংলাদেশ ফেরত পাঠাতে পারেনি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৪ মে থেকে কয়েক সপ্তাহে ভারত থেকে কয়েকশো বাংলাদেশিকে পুশ ব্যাক করা হয়েছে। এই আবহে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানান, পুশ ব্যাক বন্ধ করার দাবিতে ভারতকে নাকি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি কেউ ভারতে থেকে থাকলে তাঁকে সঠিক চ্যানেলে দেশে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে যে ভারতীয়রা আছে, তাদের কিন্তু আমরা সঠিক চ্যানেলে পাঠিয়ে থাকি। আমরা কাউকে পুশব্যাক করি না।’