এবার যিশুকে নিয়ে কী লিখলেন দিদি রাই? সঙ্গে দিলেন ছবিও

Spread the love

ছোটবেলা যতই চলুক মারামারি, খুনসুটি। বর হলে ভাই-বোনেরা একে-অপরের ঢাল হয়ে দাঁড়ান। গোটা সমাজ একদিকে থাকলেও, ছোটবেলার বেড়ে ওঠার এই মানুষটাকে আগলে রাখেন দু হাত দিয়ে। সেরকমই যিশু সেনগুপ্ত ও তাঁর দিদি রাই সেনগুপ্ত।

বৃহস্পতিবার ১৫ মে ব্রাদার্স ডে উপলক্ষে একটা মিষ্টি ছবি শেয়ার করলেন রাই। যা আসলে দিদি ও ভাইয়ের তোলা সেলফি। আর সেটি শেয়ার করে লিখলেন, ‘হ্যাপি ব্রাদার্স ডে জ্যুস @যিশুসেনগুপ্ত।’ আর দিদির এই ইনস্টাগ্রাম স্টোরি শেয়ার করে নেন যিশু নিজের স্টোরিতে। সঙ্গে বেশ কিছু লাল রঙের হৃদয়ের ইমোজি।

২০২৪ সাল থেকেই যিশু সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলছে কাঁটাছেড়া। যা শুরু হয়, নীলাঞ্জনা শর্মা যখন স্বামীকে আনফলো করে দেন। এরপর দেখা যায় বড় মেয়ে সারা সেনগুপ্তও আর ফলো করেন না বাবাকে। খবর রটে, যিশু নাকি নিজের আপ্ত সহায়কের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এরপর ২০২৪ সাল গোটাটা মা নীলাঞ্জনাকে দুই মেয়ের সঙ্গেই দেখা গিয়েছে। যিশু পরিবারের কাছে ফেরেননি বলেই ফিসফাস টলিপাড়ায়। কলকাতা এলে বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে আর ওঠেন না অভিনেতা। আজকাল থাকেন দিদি রাইয়ের সঙ্গেই।

যিশু আর নীলাঞ্জনাকে নিয়ে যখন ‘সমালোচনা’য় মুখর একাংশ, তখন নাম না করে ভাইয়ের পক্ষ নেন রাই। যিশুর দিদি সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, ‘এত্ত মিথ্যে এত্ত মিথ্যে…সহ্য হবে তো? এক সময় আমায় কর্ম নিয়ে প্রচুর জ্ঞান দেওয়া হয়েছিল। আজ যদি প্রশ্ন করি সেটাই থেকে থাকে, তাহলে কর্ম ক্ষমা করবে তো? সত্যি চিরকাল চাপা থাকে না। সত্যিই যদি নিজের মুখ খুলতে পারতাম। ভগবানও জানে না ও কী ভুল করছে।’

সম্পর্ক ভাঙার খবর আসার পর থেকে, নীলাঞ্জনার সোশ্যাল মিডিয়াতে একের পর এক উঠে এসেছিল ‘বিশ্বাসভঙ্গ’, ‘ঠকানো’, ‘ধোঁকা’ দেওয়ার কথা। যদিও কোথাও নাম ছিল না যিশুর। তবে বিতর্ক ঘি-এর মতো কাজ করেছিল সেই সমস্ত পোস্ট। এখন তো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যিশু আনফলো করে দিয়েছেন নীলাঞ্জনাকে। এমনকী, মেয়ে সারাকেও আর ফলো করেন না তিনি।

খবর, ডিভোর্সের প্রসেডিং শুরু করে দিয়েছেন যিশু-নীলাঞ্জনা দুজনেই। অভিনয় থেকে বিরতি নিলেও, যিশুর সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা চালাতেন নীলাঞ্জনা। তবে এখন তিনি শুরু করেছেন দুই মেয়ের নামে ‘নিনি চিনিস মাম্মাস প্রোডাকশন’। আর যিশুও পয়লা বৈশাখ থেকে সৌরভ দাসের সঙ্গে খুলেছেন ‘হোয়াই সো সিরিয়াস প্রোডাকশন’। তবে এসব বাইরে এলেও, সম্পর্কের তিক্ততা বা দূরত্ব আসার কারণ নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন দুজনেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *