এবার সরকারি নিয়োগে স্বজনপোষণে অভিযুক্ত সেই মন্ত্রী

Spread the love

ফের রাজ্যে সরকারি পদে নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার কাঠগড়ায় রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। অভিযোগ, মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতির আবদুর রহিম বক্সির মেয়েকে নিজের আপ্তসহায়ক পদে নিয়োগ করেছেন তিনি। এই অভিযোগ করে নথিসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাবিনার অবশ্য দাবি, এভাবে আপ্তসহায়ক নিয়োগের অধিকার তাঁর রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, ‘লক্ষ লক্ষ মেধাযুক্ত, যোগ্য বেকার যুবক-যুবতী যখন চাকরির দাবি নিয়ে ফুটপাথে রাত কাটাচ্ছে, তখন নিঃশব্দে বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির কন্যাকে চাকরি পাইয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ এবং জলপথ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন! রাজ্যের অসহায় যুবসমাজকে অন্ধকারে রেখে আর কত দিন এমন ধারাবাহিক কীর্তিকলাপ চালিয়ে যাবে মাননীয়ার সরকার?’

বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ির অভিযোগ, ‘সারা রাজ্যজুড়ে চাকরিহারাদের হাহাকার। যোগ্যরা চাকরি পাচ্ছে না। সেখানে জেলা সভাপতি নিজের মেয়েকে চাকরি দিচ্ছেন। এর থেকে নির্লজ্জ স্বজন পোষণের উদাহরণ আর হতে পারে না।’

মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের পালটা দাবি, ‘আইন মেনেই এই নিয়োগ করা হয়েছে। যে মেয়েটিকে আমার আপ্তসহায়ক করা হয়েছে জেলা সভাপতির মেয়ে হিসাবে নয়, উনি নিজে আমার কাছে এসেছিলেন। পারিবারিক সমস্যা কথা জানিয়েছিলেন। অসহায় অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। আমি মনে করেছি এটা আমার দেওয়া উচিত। এই অধিকার আমার রয়েছে।’

মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি বলেন, ‘আমার মেয়ে বিবাহিত। তার আলাদা সংসার আছে, আলাদা ঘর আছে। সে আলাদা জায়গায় থাকে। এক্ষেত্রে সে চাকরি পেয়েছে কি না। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তাঁকে চাকরি দিয়েছে কি না সেটা আমি বলতে পারব না। আমি কোনও সুপারিশও করিনি। আমি এব্যাপারে কিছু জানিও না।’

বলে রাখি, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর পরই তৎকালীন রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর মহাকরণে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। সরকারি দফতরে কী করে কেউ দলবদল করতে পারেন তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। তার আগে কংগ্রেস নেত্রী ছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *