পাক গুপ্তচর অভিযোগে গ্রেফতার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা বাংলাদেশ সামনে এল। হরিয়ানা পুলিশ আপাতত তদন্ত করছে জ্যোতির গুপ্তচরবৃত্তিতে। ভারত-পাক সংঘাতের আবহে এই জ্যোতি নাকি আইএসআই-কে সংবেদনশীল তথ্য ভাগ করেছিল। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাকিস্তানের হয়ে ইতিবাচক কনটেন্ট বানাত জ্যোতি। পাকিস্তানে একাধিকবার গিয়েছিল জ্যোতি।
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জ্যোতির বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে যাওয়ার কথা ছিল। জ্যোতির ভিসা আবেদন সংক্রান্ত নথি থেকেই সেই তথ্য জানা গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। জ্যোতি মালহোত্রার নাম সহ একটি ভিসা আবেদনপত্র সামনে এসেছে। সেই ফর্মে আবার ‘অস্থায়ী ঠিকানা’ অপশনে লেখা ছিল – উত্তরা, ঢাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ-পাক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এমনকী আইএসআই কর্তারা গিয়েও সেখানে গিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল বিভিন্ন রিপোর্টে। এই আবহে জ্যোতির বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনার খবরটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২২ মে নিজের ইউটিউব অ্যাকাউন্টে (ট্রাভেল উইথ জো) একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল জ্যোতি। তাতে দাবি করেছিল যে নয়াদিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস ধরে হাওড়ায় এসেছিল। হাওড়ায় নামার পরে হলুদ ট্যাক্সিতে চেপে কলেজ স্ট্রিট হয়ে শিয়ালদা স্টেশনে যাওয়ার ভিডিয়ো দেখিয়েছিল। তারপর শিয়ালদা স্টেশনে এসি ডরমেটরি বুক করার দৃশ্য দেখিয়েছিল।দু’দিন পরে আরও একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছিল জ্যোতি। ২৪ মে’র সেই ভিডিয়োর প্রথমটা শুরু হয়েছিল শিয়ালদা স্টেশনের ঠিক বাইরে থেকে। এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে দাবি করেছিল যে তিনি নাকি পশ্চিমবঙ্গেরই ছেলে। তাঁর সঙ্গে ট্যাক্সিতে করে পার্ক পার্কাসের একটি জনপ্রিয় বিরিয়ানি দোকানে যাওয়ার ভিডিয়ো করেছিল জ্যোতি। আরও কোথাও গিয়েছিল কিনা, তা অবশ্য দেখানো হয়নি।

তারপর ওই ভিডিয়োয় জ্যোতি দাবি করেছিল যে শিয়ালদা থেকে বিকানের দুরন্ত এক্সপ্রেস ধরেছে। তবে দুরন্ত এক্সপ্রেসের টিকিট কনফার্ম হয়নি বলে দাবি করেছিল। আরএসিতে গিয়েছিল। আর শিয়ালদা থেকে ট্রেন ছাড়ার পরে নিজের ভিডিয়োয় বিধাননগর স্টেশন, দমদম স্টেশন, দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের মতো জায়গার ছবি দেখিয়েছিল। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন পেরিয়ে যে ব্রিজ পড়ে, সেটাও দেখিয়েছিল জ্যোতি।