এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা চাকরিহারাদের

Spread the love

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়ে ছিল। তার পর রাজ্যের আবেদনে যোগ্যদের স্কুলে যেতে নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তারপর তালিকা পৌঁছে যায় ডিআই অফিসে। সেখানে যাঁদের নাম নেই তাঁরা আন্দোলন করতে শুরু করেন। ওই চাকরিহারারাই এসএসসি দফতরের সামনে লাগাতার অবস্থান করছিলেন। বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁদের দাবি, এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে সবিস্তারে বক্তব্য জানাবেন। আজ, মঙ্গলবার তাঁদের ১২ জনের প্রতিনিধিদল যায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে দু’‌পক্ষের বৈঠক হয় বেশ কিছুক্ষণ। আর বৈঠক শেষে তাঁরা জানান, আলোচনা সদর্থক হয়েছে।

তাহলে কি সমস্যা মিটে গিয়েছে?‌ এই প্রশ্ন করা হয় চাকরিহারাদের। এসএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কমলেশ কপাট বলেন, ‘‌আলোচনা সদর্থক হয়েছে। তবে দুই পক্ষের মধ্যে কী কথা হয়েছে সেটা এখনই প্রকাশ্যে বলতে পারব না। কিছুদিন আমাদের চুপ করে থাকতে হবে। তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। এতগুলি মানুষের রুটিরুজির স্বার্থে, সংগঠনের স্বার্থে কিছুদিন চুপ করে থাকতেই হবে। বুঝতেই পারছেন আমাদের উপরও চাপ আছে। তবে যতদিন না পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হচ্ছে ততদিন অবস্থান চলবে’‌।

শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলবে বলে জানিয়েছেন চাকরিহারাদের একাংশ। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজেও বিষয়টি দেখছেন। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন চাকরিহারাদের একাংশ। এসএসসি চেয়ারম্যান চাকরিহারাদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন বলে দাবি করেছেন এই চাকরিহারারা। কমলেশ কপাটের বক্তব্য, ‘‌উল্টোদিকে এক প্রতিপক্ষ রয়েছে যারা আমাদের শত্রু ভাবেন। ওই বিষয়টির সঙ্গেও আমাদের লড়তে হচ্ছে। তাই কী আলোচনা হল সেটা নিয়ে এখনই কোনও কথা বলতে পারব না।’‌ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে সময় পেলে বৈঠক করবেন তাঁরা।

ওএমআর শিট নিয়ে কি গোলমাল হয়েছে?‌ এই প্রশ্ন করা হয় তাঁদের। তাতে কমলেশ কপাটের কথায়, ‘ওএমআরে কারচুপির বিষয়টি এখন‌ও প্রমাণিত নয়। তার পরেও এসএসসি কী করে আমাদের ‘অযোগ্য’ বলে বেতন বন্ধ করে দিতে পারে? শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করব। সিবিআই কি নথি দিয়েছে সেটা এখনও প্রমাণ সাপেক্ষ। আদালতের কাছে কোনও কিছুই প্রমাণিত হয়নি। তাই যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে তাঁদের নাম যোগ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলবে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *